11. মাবুদ তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খেয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন সেই ওয়াদা অনুসারে তিনি যখন কেনানীয়দের দেশে তোমাদের নিয়ে গিয়ে অধিকার হিসাবে তা তোমাদের দেবেন,
12. তখন তোমরাও তোমাদের প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে মাবুদের উদ্দেশে দিয়ে দেবে। পশুর প্রত্যেকটা প্রথম পুরুষ বাচ্চা মাবুদের।
13. কিন্তু তোমরা গাধার প্রথম পুরুষ বাচ্চার বদলে একটা ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে তা ছাড়িয়ে নেবে। যদি তা করা না যায় তবে তোমরা গাধার বাচ্চাটার ঘাড় ভেংগে দেবে। তোমরা তোমাদের প্রত্যেকটি প্রথম ছেলেকেও ছাড়িয়ে নেবে।
14. “ভবিষ্যতে যখন তোমাদের ছেলেরা এর মানে তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে তখন তোমরা প্রত্যেকে বলবে, ‘মাবুদ মিসরের গোলামীর হাত থেকে তাঁর শক্তি দেখিয়ে আমাদের বের করে এনেছিলেন।
15. ফেরাউন একগুঁয়েমি করে যখন আমাদের আসতে দিচ্ছিল না তখন মাবুদ মিসর দেশের মানুষ ও পশুর প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে মেরে ফেলেছিলেন। সেইজন্য আমি আমার পশুর প্রত্যেকটা প্রথম পুরুষ বাচ্চা মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দিচ্ছি এবং আমার প্রথম ছেলেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছি।
16. এটা এমন একটা চিহ্ন হবে যা হাত ও কপালের স্মরণ-চিহ্নের মত তোমাকে মনে করিয়ে দেবে যে, মাবুদ তাঁর শক্তি দেখিয়ে মিসর থেকে আমাদের বের করে এনেছিলেন।’ ”
17. ফেরাউন যখন বনি-ইসরাইলদের বিদায় করে দিলেন তখন আল্লাহ্ তাদের ফিলিস্তিনীদের দেশের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন না, যদিও সেটাই ছিল সবচেয়ে সোজা পথ। আল্লাহ্ বলেছিলেন সেই দেশের মধ্য দিয়ে যাবার সময়ে যদি তারা যুদ্ধ করবার অবস্থায় পড়ে তবে হয়তো মন বদলিয়ে তারা আবার মিসর দেশে ফিরে যাবে।
18. সেইজন্য আল্লাহ্ তাদের মরুভূমির মধ্য দিয়ে লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে চললেন। বনি-ইসরাইলরা সৈন্যদলের মত করে মিসর দেশ থেকে বের হয়ে গেল।
19. মূসা ইউসুফের হাড়গুলো সংগে নিলেন, কারণ এই ব্যাপারে ইউসুফ বনি-ইসরাইলদের কসম খাইয়ে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তোমাদের দেখাশোনা করবেন। এখান থেকে যাবার সময় তোমরা আমার হাড়গুলো তুলে সংগে করে নিয়ে যেয়ো।”
20. এর পর তারা সুক্কোৎ শহর থেকে যাত্রা শুরু করে মরুভূমির কিনারায় এথম নামে এক জায়গায় গিয়ে তাদের ছাউনি ফেলল।
21. মাবুদ তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দিনের বেলায় মেঘের থামের মধ্যে আর রাতের বেলায় আলো দেবার জন্য আগুনের থামের মধ্যে উপস্থিত থেকে তাদের আগে আগে যেতেন। এতে তারা দিনে ও রাতে সব সময়েই চলতে পারত।