16. তখন ফেরাউন তাড়াতাড়ি মূসা ও হারুনকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ ও তোমাদের বিরুদ্ধে আমি গুনাহ্ করেছি।
17. তাই দয়া করে তোমরা কেবল এবারের মত আমার গুনাহ্ মাফ কর। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কাছে মিনতি কর যেন তিনি আমার উপর থেকে এই মৃত্যুর ছায়া সরিয়ে নেন।”
18. তখন মূসা ফেরাউনের কাছ থেকে গিয়ে মাবুদের কাছে মিনতি করলেন।
19. তাতে মাবুদ বাতাসের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন আর পশ্চিম দিক থেকে একটা জোর বাতাস এসে পংগপালগুলো উড়িয়ে নিয়ে লোহিত সাগরে ফেলল। সারা মিসর দেশে আর একটাও পংগপাল রইল না।
20. কিন্তু মাবুদ ফেরাউনের মন কঠিন করলেন; তিনি বনি-ইসরাইলদের যেতে দিলেন না।
21. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, “আকাশের দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও। তাতে হাত দিয়ে ছোঁয়ার মত অন্ধকারে দেশটা ডুবে যাবে।”
22. তখন মূসা আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন, আর তাতে তিন দিন পর্যন্ত গাঢ় অন্ধকারে সারা মিসর দেশটা ডুবে রইল।
23. ঐ তিন দিন পর্যন্ত কেউ কাউকে দেখতেও পেল না এবং ঘর ছেড়ে কেউ বাইরেও গেল না। কিন্তু বনি-ইসরাইলরা যেখানে ছিল সেখানে আলোর অভাব হল না।
24. তখন ফেরাউন মূসাকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “যাও, গিয়ে মাবুদের এবাদত কর। তোমাদের ছেলেমেয়েরাও তোমাদের সংগে যেতে পারবে, কিন্তু তোমাদের গরু-ভেড়ার পাল এখানে থাকবে।”
25. জবাবে মূসা বললেন, “আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো ও অন্যান্য কোরবানীর পশু আপনাকেই যুগিয়ে দিতে হবে।
26. আমাদের গরু-ভেড়াগুলোও আমাদের সংগে নিয়ে যেতে হবে। তাদের একটা খুরও আমরা এখানে ফেলে যেতে পারব না। আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র এবাদতের জন্য এগুলোর মধ্য থেকে কতগুলো আমাদের দরকারে লাগবে। সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা বুঝতে পারছি না মাবুদের এবাদতের জন্য কোন্ কোন্ পশু আমাদের লাগবে।”