17. তারপর সে একটা মাটির পাত্রে কিছু পবিত্র পানি নেবে এবং আবাস-তাম্বুর মেঝে থেকে কিছু ধুলা তুলে নিয়ে সেই পানির মধ্যে দেবে।
18. স্ত্রীলোকটিকে মাবুদের সামনে দাঁড় করাবার পর ইমাম তার চুল খুলে দেবে এবং অন্যায় তুলে ধরবার জন্য আনা কোরবানীর জিনিস, অর্থাৎ সন্দেহের দরুন শস্য-কোরবানীর জিনিস তার হাতে দেবে। ইমাম তার নিজের হাতে রাখবে বদদোয়া নিয়ে আসা তেতো পানি।
19. তারপর ইমাম স্ত্রীলোকটিকে কসম খাইয়ে নিয়ে তাকে বলবে, ‘বিয়ের পর কোন লোক যদি তোমার সংগে জেনা না করে থাকে এবং তুমি যদি কুপথে গিয়ে অসতী না হয়ে থাক তবে বদদোয়া আনা এই তেতো পানি যেন তোমার কোন ক্ষতি না করে।
20. কিন্তু বিয়ের পর কুপথে গিয়ে কারও সংগে জেনা করে যদি তুমি অসতী হয়ে থাক’-
21. এই পর্যন্ত বলে ইমাম সেই স্ত্রীলোকটিকে দিয়ে তার নিজের উপর বদদোয়া ডেকে আনবার একটা কসম খাইয়ে নিয়ে আবার বলবে, ‘তবে মাবুদ এমন করুন যাতে স্ত্রী-অংগ অকেজো হয়ে তোমার পেট ফুলে ওঠে, যার ফলে তোমার লোকেরাই বদদোয়া এবং কসমের সময়ে তোমার নাম ব্যবহার করবে।
22. এই বদদোয়ার পানি তোমার শরীরে ঢুকে যেন এমনভাবে কাজ করে যাতে তোমার পেট ফুলে ওঠে ও তোমার স্ত্রী-অংগ অকেজো হয়ে যায়।’“এর জবাবে স্ত্রীলোকটিকে বলতে হবে, ‘তা-ই হোক।’
23. “ইমাম এই সমস্ত বদদোয়া চামড়ার উপর লিখে পানি ঢেলে লেখাটা সেই তেতো পানিতে ফেলবে।
24. বদদোয়ার সেই তেতো পানি সেই স্ত্রীলোকটিকে খাওয়ালে পর সেই পানি তার পেটে গিয়ে তাকে ভীষণ যন্ত্রণা দেবে।