ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

শুমারী 32:17-31 Kitabul Mukkadas (MBCL)

17. কিন্তু বনি-ইসরাইলদের তাদের নিজেদের জায়গায় পৌঁছিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধের সাজে তাদের আগে আগে যেতে প্রস্তুত আছি। এর মধ্যে আমাদের পরিবার দেয়াল-ঘেরা শহরে বাস করবে যাতে এই সব দেশের লোকদের হাত থেকে তারা রক্ষা পায়।

18. বনি-ইসরাইলরা প্রত্যেকে তার সম্পত্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের ঘরে ফিরে আসব না।

19. জর্ডান নদীর ওপারে বনি-ইসরাইলদের সংগে আমরা কোন সম্পত্তি নেব না, কারণ নদীর পূর্ব পারেই তো আমরা তা পেয়ে যাচ্ছি।”

20-21. এই কথা শুনে মূসা তাদের বললেন, “যদি তোমরা তা কর, যদি তোমরা মাবুদের সামনে যুদ্ধের সাজ পর আর মাবুদ তাঁর শত্রুদের তাঁর সামনে থেকে তাড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা সবাই যুদ্ধের সাজে মাবুদের সামনে নদীর ওপারে যাও,

22. তবে দেশটা মাবুদের অধীনে আসলে পর তোমরা ফিরে আসতে পারবে এবং মাবুদ ও ইসরাইল জাতির প্রতি তোমাদের কর্তব্য থেকে রেহাই পাবে; আর তখন মাবুদের ইচ্ছায় এই জায়গাটা তোমাদের সম্পত্তি হবে।

23. কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তবে মাবুদের বিরুদ্ধে তোমরা গুনাহ্‌ করবে। তোমরা এটা জেনে রেখো যে, তোমাদের গুনাহ্‌ তোমাদের রেহাই দেবে না।

24. তোমরা তোমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শহর তৈরী করতে পার এবং ছাগল-ভেড়ার ঘরও বানাতে পার, কিন্তু যে কাজ করবার ওয়াদা তোমরা করেছ তা তোমাদের করতে হবে।”

25. তখন গাদ ও রূবেণ-গোষ্ঠীর লোকেরা মূসাকে বলল, “আপনি আমাদের মালিক, আপনি আমাদের যে হুকুম দিলেন আমরা, আপনার গোলামেরা, তা পালন করব।

26. আমাদের ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, ছাগল-ভেড়া ও গরুর পাল ওখানে গিলিয়দের শহরগুলোতেই থাকবে।

27. কিন্তু আমরা আমাদের মালিকের কথামত যুদ্ধ করবার জন্য যুদ্ধের সাজে মাবুদের সামনে নদী পার হয়ে যাব।”

28. তখন মূসা এই লোকদের সম্বন্ধে ইমাম ইলিয়াসর, নূনের ছেলে ইউসা এবং ইসরাইলীয় গোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন বংশের নেতাদের হুকুম দিলেন।

29. তিনি তাঁদের বললেন, “গাদ ও রূবেণ-গোষ্ঠীর পুরুষেরা যদি সবাই যুদ্ধের সাজে মাবুদের সামনে যুদ্ধ করবার জন্য তোমাদের সংগে জর্ডান নদী পার হয়ে যায়, তবে যখন দেশটা তোমাদের অধীনে আসবে তখন তোমরা সম্পত্তি হিসাবে গিলিয়দ দেশটা তাদের দিয়ে দেবে।

30. কিন্তু যদি তারা তা না করে তবে কেনান দেশেই তোমাদের সংগে তাদের সম্পত্তি নিতে হবে।”

31. এই কথা শুনে গাদ ও রূবেণ-গোষ্ঠীর লোকেরা বলল, “মাবুদ যা বলেছেন আপনার গোলামেরা তা করবে।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন শুমারী 32