1-5. মাবুদ মূসাকে বনি-ইসরাইলদের এই কথা বলতে বললেন, “যে দেশটা আমি তোমাদের নিজের দেশ হিসাবে দিচ্ছি সেখানে যাবার পরে আমাকে খুশী করবার খোশবুর জন্য তোমরা পাল থেকে গরু, ভেড়া বা ছাগল নিয়ে এসে আমার উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানী দেবে। কোরবানীর প্রত্যেকটি পশুর সংগে থাকবে শস্য-কোরবানী এবং ঢালন-কোরবানী- সেটা পোড়ানো-কোরবানীই হোক, কিংবা বিশেষ মানত পূরণের কোরবানীই হোক, কিংবা নিজের ইচ্ছায় করা কোরবানীই হোক, কিংবা কোন ঈদের কোরবানীই হোক। কোরবানীর পশুটা বাচ্চা-ভেড়া হলে তার সংগে শস্য-কোরবানীর জন্য তেল মিশানো মিহি ময়দা আনতে হবে। ময়দার পরিমাণ হবে এক কেজি আটশো গ্রাম আর তেলের পরিমাণ হবে প্রায় এক লিটার। ঢালন-কোরবানীর জন্য আনতে হবে প্রায় এক লিটার আংগুর-রস।
6. পশুটা ভেড়া হলে তার সংগে শস্য-কোরবানীর জন্য তেল মিশানো মিহি ময়দা আনতে হবে। ময়দার পরিমাণ হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম আর তেলের পরিমাণ হবে সোয়া লিটার।
7. ঢালন-কোরবানীর জন্য আনতে হবে সোয়া লিটার আংগুর-রস। তারপর মাবুদকে খুশী করবার গন্ধের জন্য তা মাবুদের কাছে কোরবানী করতে হবে।
8. যদি তোমরা পোড়ানো-কোরবানী কিংবা বিশেষ মানত পূরণের কোরবানী কিংবা যোগাযোগ-কোরবানীর জন্য আমার কাছে কোন গরু নিয়ে আস,
9. তবে তার সংগে শস্য-কোরবানীর জন্য তেল মিশানো মিহি ময়দা আনতে হবে। ময়দার পরিমাণ হবে পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম আর তেলের পরিমাণ হবে পৌনে দুই লিটার।
10. এর সংগে ঢালন-কোরবানীর জন্য পৌনে দুই লিটার আংগুর-রসও আনতে হবে। এটা একটা আগুনে দেওয়া-কোরবানী যার খোশবুতে আমি খুশী হই।
11. “প্রত্যেকটা ষাঁড় কিংবা ভেড়া, প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়া কিংবা ছাগল এইভাবে কোরবানী দিতে হবে।
12. তোমরা যত পশুই কোরবানী দাও না কেন প্রত্যেকটা পশু এই নিয়মে কোরবানী দিতে হবে।
13. মাবুদকে খুশী করবার খোশবুর জন্য আগুনে দেওয়া-কোরবানী দেওয়ার সময় প্রত্যেক ইসরাইলীয়কে এই নিয়মে কোরবানী দিতে হবে।
14. অন্য জাতির কোন লোক কিংবা তোমাদের মধ্যে বাস করা অন্য কেউ যদি মাবুদকে খুশী করবার খোশবুর জন্য আগুনে দেওয়া-কোরবানী দেয় তবে তাকে ঠিক তোমাদের মতই সমস্ত কিছু করতে হবে। বংশের পর বংশ ধরে এই নিয়ম চলবে।