23. মূসা সেই ভেড়াটা জবাই করলেন এবং তা থেকে কিছুটা রক্ত নিয়ে হারুনের ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলে লাগিয়ে দিলেন।
24. তারপর তিনি হারুনের ছেলেদের সামনে নিয়ে আসলেন এবং তাঁদের ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলে কিছুটা রক্ত লাগিয়ে দিলেন। এর পর তিনি কোরবানগাহের চারপাশের গায়ে রক্ত ছিটিয়ে দিলেন।
25. তিনি ভেড়াটার চর্বি, চর্বিভরা লেজটা, পেটের ভিতরের সমস্ত চর্বি, কলিজার উপরের অংশ, চর্বি জড়ানো কিড্নি দু’টা এবং ডানপাশের রানটা নিলেন।
26. তারপর মাবুদের সামনে রাখা খামিহীন রুটির টুকরি থেকে তিনি একটা রুটি, তেলের ময়ান দেওয়া একটা পিঠা ও একটা চাপাটি নিয়ে সেই চর্বি ও রানের উপর রাখলেন।
27. সেগুলো তিনি হারুন ও তাঁর ছেলেদের হাতে দিয়ে দোলন-কোরবানী হিসাবে তা মাবুদের সামনে দোলালেন।
28. তারপর তিনি সেগুলো তাঁদের হাত থেকে নিয়ে বহাল-অনুষ্ঠানের কোরবানী হিসাবে কোরবানগাহের উপরকার পোড়ানো-কোরবানীর উপরে সেগুলো পুড়িয়ে দিলেন। এটা মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর মধ্যে একটা, যার খোশবুতে মাবুদ খুশী হন।
29. তারপর তিনি তাঁর নিজের পাওনা অংশটা, অর্থাৎ বহাল-অনুষ্ঠানের ভেড়ার বুকের অংশটা নিয়ে দোলন-কোরবানী হিসাবে মাবুদের সামনে দোলালেন। সব কিছু মূসা মাবুদের হুকুম মতই করলেন।
30. এর পর মূসা কিছুটা অভিষেকের তেল ও কোরবানগাহ্ থেকে কিছুটা রক্ত নিয়ে হারুন ও তাঁর ছেলেদের উপর এবং তাঁদের পোশাকের উপর ছিটিয়ে দিলেন। এইভাবে হারুন ও তাঁর ছেলেদের এবং তাঁদের পোশাক পাক-পবিত্র করা হল।
31. মূসা তারপর হারুন ও তাঁর ছেলেদের বললেন, “তোমরা মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে এই গোশ্ত সিদ্ধ কর এবং সেখানেই বহাল-অনুষ্ঠানের টুকরির রুটি দিয়ে তা খাও, কারণ আমি এই হুকুম দিয়েছিলাম যে, তোমার ও তোমার ছেলেদের তা খেতে হবে।
32. খাওয়ার পর যে গোশ্ত ও রুটি বাকী থাকবে তা তোমরা পুড়িয়ে ফেলবে।