ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লেবীয় 27:17-34 Kitabul Mukkadas (MBCL)

17. ফিরে পাওয়ার বছরে যদি সে তার জমি পবিত্র করে তবে ইমাম এই নিয়মে যে দাম ঠিক করে দেবে জমিটার দাম তা-ই থাকবে।

18. কিন্তু ফিরে পাওয়ার বছরের পরে যদি সে তার জমি পবিত্র করে তবে তার পরের ফিরে পাওয়ার বছর আসতে যত বছর বাকী থাকবে সেটা হিসাব করে ইমাম তার দাম ঠিক করবে। তাতে ঐ নিয়মে ঠিক করা পুরো দামের চেয়ে এই দাম কম হবে।

19. কোন জমি-উৎসর্গদাতা যদি তার জমি ছাড়িয়ে নিতে চায় তবে সেই জমির ঠিক করা দামের সংগে তাকে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিতে হবে। এর পর জমিটা আবার তার হয়ে যাবে।

20. কিন্তু যদি সে জমিটা ছাড়িয়ে না নেয় কিংবা আর কারও কাছে বিক্রি করে দেয় তবে সেটা আর ছাড়িয়ে নেওয়া যাবে না।

21. ফিরে পাওয়ার বছরে যখন জমিটা খালাস হবে তখন সেটা মাবুদের উদ্দেশ্যে ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন জমির মতই মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র হয়ে যাবে। তখন সেটা হবে ইমামের সম্পত্তি।

22. নিজের পরিবারের জমির কোন অংশ নয় এমন কোন কিনে নেওয়া জমি যদি কেউ মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করে,

23. তবে ইমাম ফিরে পাওয়ার বছর পর্যন্ত হিসাব করে তার দাম ঠিক করে দেবে। সেই দিনই সেই জমির দাম তাকে মাবুদের উদ্দেশে পবিত্র জিনিস হিসাবে দিয়ে দিতে হবে।

24. জমিটা সে যার কাছ থেকে কিনবে ফিরে পাওয়ার বছরে তা আবার তার কাছে, অর্থাৎ জমির আগের মালিকের কাছে চলে যাবে।

25. সব কিছুর দাম ধর্মীয় শেখেলের ওজন অনুসারেই ঠিক করতে হবে। দশ গ্রামে একটা ধর্মীয় শেখেল হয়।

26. “কোন পশুর প্রথম পুরুষ বাচ্চা কেউ মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করতে পারবে না, কারণ সব পশুর প্রথম বাচ্চাই মাবুদের। বাচ্চাটা গরুরই হোক বা ভেড়ারই হোক সেটা মাবুদের।

27. যদি সেটা কোন নাপাক পশুর প্রথম বাচ্চা হয় তবে ইমামের ঠিক করে দেওয়া দামের সংগে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিয়ে সেটা সে ছাড়িয়ে নিতে পারবে। যদি সে সেটা ছাড়িয়ে না নেয় তবে সেই ঠিক করে দেওয়া দামেই সেটা বিক্রি করে দিতে হবে।

28. “কিন্তু যদি কেউ তার নিজের কোন কিছু মাবুদের উদ্দেশ্যে ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন বলে ঘোষণা করে তবে সে সেটা আর বিক্রি করতে বা ছাড়িয়ে নিতে পারবে না- সেটা পরিবারের জমিই হোক অথবা মানুষ কিংবা পশুই হোক। এই রকম ভাবে যা কিছু ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন বলে ঘোষণা করা হয় তা সবই মাবুদের উদ্দেশে মহাপবিত্র জিনিস বলে ধরতে হবে।

29. যদি কোন লোককে মাবুদের উদ্দেশ্যে ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন বলে ঘোষণা করা হয় তবে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া চলবে না, তাকে হত্যা করতে হবে।

30. “জমি থেকে যা পাওয়া যাবে তার দশ ভাগের এক ভাগ মাবুদের- তা জমির ফসলই হোক কিংবা গাছের ফলই হোক। তা মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র।

31. কেউ যদি তার সেই দশ ভাগের এক ভাগ ছাড়িয়ে নিতে চায় তবে তার দামের সংগে তাকে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিতে হবে।

32. প্রত্যেকের পশুপালের দশ ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ রাখালের লাঠির নীচ দিয়ে চলে যাওয়া প্রতিটি দশম পশু হবে মাবুদের উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র।

33. এই দশম পশুগুলো ভাল কি খারাপ তা দেখা চলবে না কিংবা একটার বদলে অন্য একটা দেওয়া চলবে না। যদি কেউ তা করে তবে সেই দশম পশুটা এবং তার বদলে যে পশুটা সে দেবে সেটাও মাবুদের উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র হয়ে যাবে এবং তা আর ছাড়িয়ে নেওয়া যাবে না।”

34. মাবুদ বনি-ইসরাইলদের জন্য এই সব হুকুম তুর পাহাড়ে মূসার কাছে দিয়েছিলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন লেবীয় 27