12. আমার নাম নিয়ে মিথ্যা ওয়াদা করে তোমাদের আল্লাহ্র নামের পবিত্রতা নষ্ট করা চলবে না। আমি মাবুদ।
13. “কোন মানুষের উপর অন্যায় সুবিধা নেওয়া কিংবা জুলুম করে তার জিনিস নেওয়া চলবে না। মজুরের দিনের পাওনা দিনেই দিয়ে দিতে হবে; তা সকাল পর্যন্ত আট্কে রাখা চলবে না।
14. যে কানে শোনে না তাকে বদদোয়া দেবে না কিংবা যে চোখে দেখে না তার পথে উচোট খাবার মত কোন জিনিস রাখবে না। তোমরা তোমাদের আল্লাহ্কে ভয় করে চলবে। আমি মাবুদ।
15. “অন্যায় বিচার করা চলবে না। বিচারে ছোট-বড় কারও পক্ষ নেওয়া চলবে না; তোমরা প্রত্যেকের প্রতি ন্যায়বিচার করবে।
16. কারও নিন্দা করে বেড়ানো চলবে না। কোন মানুষের প্রাণের ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করা চলবে না। আমি মাবুদ।
17. “অন্যের প্রতি মনের মধ্যে ঘৃণা পুষে রাখা চলবে না। অন্যের দোষ অবশ্যই দেখিয়ে দিতে হবে যাতে তার দরুন তোমরা নিজেরা দোষী না হও।
18. প্রতিশোধ নেওয়া চলবে না, কিংবা কারও বিরুদ্ধে মনের মধ্যে হিংসার ভাব পুষে রাখা চলবে না। প্রত্যেক মানুষকে নিজের মত করে মহব্বত করতে হবে। আমি মাবুদ।
19. “আমার নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিভিন্ন জাতের পশুদের মধ্যে সহবাস ঘটানো চলবে না। একই ক্ষেতে দুই রকম বীজ বোনা চলবে না। দুই জাতের সুতায় বোনা কাপড় পরা চলবে না।
20. “অন্যের সংগে বিয়ের সম্বন্ধ করা হয়েছে অথচ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় নি কিংবা মুক্তি দেওয়া হয় নি এমন কোন বাঁদীর সংগে যদি কেউ সহবাস করে তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। সেই দু’জনকে হত্যা করা চলবে না কারণ মেয়েটিকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় নি।
21. কিন্তু সেই লোককে মাবুদের উদ্দেশে তার দোষের কোরবানী হিসাবে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে একটা ভেড়া নিয়ে আসতে হবে।
22. দোষের কোরবানীর সেই ভেড়াটা দিয়ে ইমামকে মাবুদের সামনে তার সেই গুনাহ্ ঢাকা দিতে হবে। তাতে তার সেই গুনাহ্ মাফ করা হবে।
23. “তোমাদের দেশে গিয়ে যদি তোমরা কোন ফলের গাছ লাগাও তবে তার ফল তোমাদের তিন বছর পর্যন্ত হারাম ফল বলে ধরতে হবে। ঐ সময়ের মধ্যে ঐ ফল খাওয়া তোমাদের চলবে না।
24. চতুর্থ বছরে গাছের সমস্ত ফল মাবুদের প্রশংসার জন্য তাঁর উদ্দেশে কোরবানী করতে হবে।