9. সেই সাত দিনের শেষ দিন তাকে তার শরীরের সব চুল, অর্থাৎ তার মাথার চুল, দাড়ি, ভুরু এবং শরীরের লোম কামিয়ে ফেলতে হবে। তারপর তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর তারপর সে সম্পূর্ণ পাক-সাফ হবে।
10. “তার পরের দিন সে দু’টা ভেড়ার বাচ্চা আর একটা এক বছরের ভেড়ী নিয়ে আসবে। সেগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে। সেই সংগে শস্য-কোরবানীর জন্য সে পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম তেল মিশানো মিহি ময়দা ও পৌনে দুই লিটার তেল নিয়ে আসবে।
11. যে ইমাম তার পাক-সাফ হওয়ার কাজ করছে সে তাকে এবং কোরবানীর জন্য আনা তার জিনিসগুলো মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে মাবুদের সামনে উপস্থিত করবে।
12. “ইমাম সেই ভেড়া দু’টার একটা আর সেই পৌনে দুই লিটার তেল নিয়ে দোষের কোরবানী দেবে এবং দোলন-কোরবানী হিসাবে মাবুদের সামনে তা দোলাবে।
13. পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকায় যেখানে গুনাহের কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানীর পশু কাটা হয় সেখানে সেই ভেড়াটা জবাই করতে হবে। গুনাহের কোরবানীর গোশ্তের মত দোষের কোরবানীর গোশ্তও ইমামের পাওনা। এই গোশ্ত মহাপবিত্র জিনিস।
14. যে লোকটিকে পাক-সাফ করা হবে ইমাম দোষের কোরবানীর পশু থেকে কিছুটা রক্ত নিয়ে তার ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলে লাগিয়ে দেবে।
15. এর পরে সেই তেলের কিছুটা সে তার বাঁ হাতের তালুতে ঢেলে নেবে।
16. তারপর ডান হাতের বুড়ো আংগুলের পরের আংগুল দিয়ে বাঁ হাত থেকে তেল তুলে নিয়ে সাতবার তা মাবুদের সামনে ছিটাবে।
17. তারপর তার হাতের বাকী তেল থেকে কিছুটা নিয়ে সে লোকটির ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলে দোষের কোরবানীর রক্তের উপরে লাগিয়ে দেবে।
18. হাতের বাকী তেলটুকু সে লোকটির মাথায় দেবে। এইভাবে মাবুদের সামনে সে তার নাপাকী ঢাকা দেবে।