21-22. “কিন্তু লোকটি যদি গরীব হয় আর এই সব জিনিস আনা তার ক্ষমতায় না কুলায় তবুও দোষের কোরবানীর জন্য একটা ভেড়ার বাচ্চা তাকে আনতে হবে, আর সেটাই ইমাম তার নাপাকী ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে দোলাবে। এর সংগে লোকটিকে শস্য-কোরবানীর জন্য এক কেজি আটশো গ্রাম তেল মিশানো মিহি ময়দা, পৌনে দুই লিটার তেল ও দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর আনতে হবে, যা তার ক্ষমতার বাইরে নয়। পাখী দু’টার একটা গুনাহের কোরবানীর জন্য ও অন্যটা পোড়ানো-কোরবানীর জন্য।
23. তারপর আট দিনের দিন পাক-সাফ হবার জন্য লোকটিকে এই সব জিনিস এনে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে মাবুদের সামনে ইমামের কাছে দিতে হবে।
24. ইমাম দোষের কোরবানীর ভেড়াটা এবং ঐ তেল নিয়ে দোলন-কোরবানী হিসাবে মাবুদের সামনে দোলাবে।
25. সেই কোরবানীর জন্য জবাই করে নেওয়া ভেড়াটার কিছু রক্ত নিয়ে ইমাম লোকটির ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলে লাগিয়ে দেবে।
26-27. সে তার বাঁ হাতের তালুতে কিছুটা তেল ঢেলে নেবে আর ডান হাতের বুড়ো আংগুলের পরের আংগুলটা দিয়ে কিছুটা তেল তুলে নিয়ে সাতবার তা মাবুদের সামনে ছিটিয়ে দেবে।
28. লোকটির ডান কানের লতি এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলের যে সব জায়গায় ইমাম দোষের কোরবানীর পশুর রক্ত লাগিয়েছে সেই সব জায়গাতেই সেই তেলের কিছুটা নিয়ে সে লাগিয়ে দেবে।
29. মাবুদের সামনে তার নাপাকী ঢাকা দেবার জন্য সে তার হাতের বাকী তেলটুকু লোকটির মাথায় দেবে।
30-31. ইমাম তার কাছ থেকে সেই ঘুঘু না হয় কবুতর নেবে, যা তার ক্ষমতার বাইরে নয়। তারপর সেই পাখী দু’টার একটা নিয়ে সে গুনাহের কোরবানী হিসাবে এবং অন্যটা পোড়ানো-কোরবানী হিসাবে শস্য-কোরবানীর সংগে কোরবানী দেবে। ইমাম এইভাবে মাবুদের সামনে লোকটির নাপাকী ঢাকা দেবে।”
32. যাদের খারাপ চর্মরোগ হয়েছে অথচ পাক-সাফ হওয়ার জন্য যে কোরবানীর জিনিস আনবার কথা বলা হয়েছে তা আনবার ক্ষমতা নেই তাদের জন্য এই হল নিয়ম।
33. তারপর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,
34. “যে কেনান দেশটা সম্পত্তি হিসাবে আমি তোমাদের দিতে যাচ্ছি সেই দেশে তোমরা ঢুকবার পর সেখানকার কোন বাড়িতে আমি যদি ছড়িয়ে পড়া ক্ষয়-করা ছাৎলা পড়বার ব্যবস্থা করি,
35. তবে ঘরের মালিক ইমামের কাছে গিয়ে বলবে, ‘আমার বাড়িতে ছাৎলার মত কি একটা দেখতে পাচ্ছি।’
36. ইমাম তা দেখবার জন্য ঘরে ঢুকবার আগেই হুকুম দেবে যেন ঘর থেকে সব কিছু বের করে ফেলা হয়, যাতে ঘরের কোন কিছুই নাপাক বলে ঘোষণা করা না হয়। তারপর ইমাম সেই ঘরে ঢুকে তা পরীক্ষা করে দেখবে।
37. দেয়ালের ছাৎলা পরীক্ষা করবার সময় যদি দেখা যায় জায়গাটা দেয়ালের গা থেকে নীচু হয়ে গেছে আর ছাৎলার রং সবুজ বা লাল্চে এবং সেটা যদি আরও গভীরে চলে গেছে বলে তার মনে হয়,
38. তবে সে সেই ঘর থেকে বের হয়ে এসে ঘরের দরজাটা সাত দিনের জন্য বন্ধ করে দেবে।
39. সেই সাত দিনের শেষের দিন সে ফিরে এসে ঘরটা আবার পরীক্ষা করে দেখবে। যদি সেই ছাৎলা দেয়ালের উপর ছড়িয়ে গিয়ে থাকে,
40. তবে সে হুকুম দেবে যেন সেখানকার ছাৎলা-ধরা পাথরগুলো বের করে শহরের বাইরে কোন নাপাক জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।
41. ঘরের ভিতরের সব দেয়াল চেঁছে ফেলে সেই চাঁছা অংশগুলো শহরের বাইরে কোন নাপাক জায়গায় ফেলে দিতে হবে।