15. তখন তারা সেই উপহার, দ্বিগুণ টাকা ও বিন্ইয়ামীনকে নিয়ে রওনা হয়ে গেল। মিসর দেশে পৌঁছে তারা ইউসুফের সামনে উপস্থিত হল।
16. তাদের সংগে বিন্ইয়ামীনকে দেখে ইউসুফ তাঁর বাড়ীর তদারককারীকে বললেন, “ঐ লোকদের বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যাও আর গোশ্ত রান্নার ব্যবস্থা কর। এই সব লোক দুপুরবেলা আমার সংগে খাবে।”
17. ইউসুফ যা বললেন তদারককারী তা-ই করল। সে ঐ লোকদের ইউসুফের বাড়ীতে নিয়ে চলল।
18. ইউসুফের বাড়ীতে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেখে সেই লোকেরা ভয়ে বলাবলি করতে লাগল, “আগের বারে যে টাকা আমাদের বস্তার মধ্যে ফেরৎ গিয়েছিল তারই জন্য আমাদের ওখানে নেওয়া হচ্ছে। এইবার তিনি আমাদের দোষ দেখিয়ে আমাদের ধরে নিয়ে যাবেন, আর আমাদের গাধাগুলো কেড়ে নিয়ে আমাদের তাঁর গোলাম বানিয়ে রাখবেন।”
19. কাজেই তারা ইউসুফের বাড়ীর দরজার সামনে এসে বাড়ীর তদারককারীকে বলল,
20. “হুজুর, আমরা এর আগেও একবার শস্য কিনতে এসেছিলাম।
21. কিন্তু ফিরে যাবার পথে বিশ্রামের জায়গায় পৌঁছে আমাদের বস্তা খুলতেই দেখি আমাদের পুরো টাকাই যার যার বস্তার মুখে রয়েছে। আমরা এখন সেই টাকা ফিরিয়ে এনেছি।
22. এছাড়া শস্য কিনবার জন্য সংগে করে আমরা আরও টাকা এনেছি। সেই টাকা আমাদের বস্তায় কে দিয়ে দিয়েছিল তা আমরা জানি না।”
23. সেই তদারককারী বলল, “সব ঠিক আছে, ভয় নেই। তোমাদের ও তোমাদের বাবার আল্লাহ্ই সেই দান তোমাদের বস্তায় রেখেছিলেন। তোমাদের টাকা আমি পেয়েছি।” এই বলে সে শিমিয়োনকে বের করে তাদের কাছে নিয়ে আসল।
24. তারপর সে সবাইকে ইউসুফের বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গিয়ে পানি দিল আর তারা পা ধু’ল। সে তাদের গাধাগুলোকেও খেতে দিল।