ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 41:29-45 Kitabul Mukkadas (MBCL)

29. সারা মিসর দেশে এমন সাতটা বছর আসছে যখন প্রচুর ফসল জন্মাবে,

30. আর তার পরেই আসছে সাতটা দুর্ভিক্ষের বছর। তখন আগেকার প্রচুর ফসলের কথা লোকের মন থেকে মুছে যাবে, কারণ এই দুর্ভিক্ষ দেশকে শেষ করে দেবে।

31. এই দুর্ভিক্ষের দরুন দেশের সুদিনের কথা লোকের মনেও থাকবে না। এই দুর্ভিক্ষ হবে ভয়ংকর।

32. এই স্বপ্ন মহারাজকে দু’বার দেখানো হয়েছে। এর মানে হল, আল্লাহ্‌ এই ব্যাপারে তাঁর মন স্থির করে ফেলেছেন এবং শীঘ্রই তিনি তা ঘটাবেন।

33. “সেইজন্য এখন মহারাজ এমন একজন লোককে খুঁজে বের করুন যিনি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান। তাঁর উপর আপনি মিসর দেশের ভার দিন।

34. তা ছাড়া অন্যান্য কর্মচারীও আপনি নিযুক্ত করুন। দেশে ঐ সাত বছরে যখন প্রচুর ফসল হবে, তখন তাঁরাই তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ সংগ্রহ করবেন।

35. সেই লোকেরা যেন ঐ সব সুদিনের বাড়তি শস্য সংগ্রহ করে মহারাজের অধীনে প্রত্যেকটি শহরে ভবিষ্যতে খাওয়ার জন্য মজুদ করে রাখেন এবং তা রক্ষা করবার ব্যবস্থা করেন।

36. সাত বছর মিসর দেশে যে দুর্ভিক্ষ হবে তখনকার খাবার হিসাবে যেন শস্য মজুদ করে রাখা হয়, যাতে দুর্ভিক্ষের সময় দেশের লোক মারা না যায়।”

37. ইউসুফের এই ব্যবস্থার কথাটা ফেরাউন ও তাঁর সব কর্মচারীর কাছে ভাল বলে মনে হল।

38. ফেরাউন তাঁর কর্মচারীদের বললেন, “এই লোকটির মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা এই দুনিয়ার নয়। এর মত আর কাকে আমরা খুঁজে পাব?”

39. এর পর ফেরাউন ইউসুফকে বললেন, “তোমার আল্লাহ্‌ যখন তোমার কাছেই এই সব প্রকাশ করেছেন তখন তোমার মত জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান আর কে আছে?

40. কাজেই রাজবাড়ীর সমস্ত ভার তোমাকেই নিতে হবে। তোমার মুখের হুকুম মেনেই আমার সমস্ত লোক চলবে। কেবল বাদশাহ্‌ হিসাবে আমি তোমার উপরে থাকব।”

41. ফেরাউন ইউসুফকে আরও বললেন, “মনে রেখ, আমি সারা মিসর দেশের উপর তোমাকে নিযুক্ত করলাম।”

42. তারপর ফেরাউন নিজের হাত থেকে সীলমোহর দেওয়ার আংটিটা খুলে নিয়ে ইউসুফের হাতে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁকে সুন্দর কাপড় পরিয়ে তাঁর গলায় একটা সোনার হার দিলেন।

43. এর পর তিনি ইউসুফকে তাঁর রাজ্যের দ্বিতীয় রথে বসালেন। রথ চলবার সময় ইউসুফের আগে আগে ঘোষণা করা হল, “হাঁটু পাত, হাঁটু পাত।” এইভাবে ফেরাউন ইউসুফের উপর সমস্ত মিসর দেশের ভার দিলেন।

44. পরে তিনি ইউসুফকে বললেন, “যদিও আমি এখনও বাদশাহ্‌ই আছি তবুও সারা মিসর দেশের লোক তোমার হুকুমেই ওঠা-বসা করবে।”

45. ফেরাউন ইউসুফের নতুন নাম দিলেন সাফনৎ-পানেহ। হেলিওপলিস শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনতের সংগে তিনি ইউসুফের বিয়ে দিলেন। এর পর ইউসুফ গোটা মিসর দেশটা ঘুরে আসবার জন্য বেরিয়ে পড়লেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন পয়দায়েশ 41