18. তাদের এই কথায় হমোর ও তার ছেলে শিখিম খুশী হল।
19. পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানী লোক শিখিম আর দেরি না করে কথাটা মেনে নিল, কারণ ইয়াকুবের মেয়ের প্রতি তার খুব টান ছিল।
20. সেইজন্য শহরের সদর দরজার কাছে গিয়ে হমোর ও তার ছেলে শিখিম সেখানকার লোকদের বলল,
21. “এই লোকেরা আমাদের বন্ধু। আমাদের দেশে তাদের থাকবার জন্য অনেক জায়গাও রয়েছে। এরা এখানেই থাকুক আর খুশীমত চলাফেরা করুক। চলুন, আমরা তাদের মেয়েদের নিই এবং আমাদের মেয়েদেরও তাদের দিই।
22. শুধুমাত্র একটা কাজ করলে তারা আমাদের সংগে বাস করে এক জাতি হতে রাজী আছে। সেটা হল, তাদের মত করে আমাদের মধ্যেকার প্রত্যেকটি পুরুষের খৎনা করাতে হবে।
23. তাদের গরু-ভেড়া, বিষয়-সম্পত্তি এবং সমস্ত পশুপাল আমাদের মধ্যেই থাকবে। তাই আসুন, আমরা তাদের কথায় রাজী হই। তাহলে তারা আমাদের সংগে বাস করবে।”
24. এতে শহরের পুরুষ লোকেরা সকলেই হমোর ও তার ছেলে শিখিমের কথায় রাজী হল, আর তাদের সকলের খৎনা করানো হল।
25. এর তিন দিনের দিন যখন পুরুষেরা ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিল তখন দীণার নিজের ভাই, অর্থাৎ ইয়াকুবের দুই ছেলে শিমিয়োন ও লেবি তলোয়ার নিয়ে শহরে ঢুকে প্রতিটি পুরুষকে হত্যা করল। এই রকম কিছু হবে বলে শহরের কারও মনে কোন সন্দেহ ছিল না।
26. তারা হমোর আর তার ছেলেকেও হত্যা করল এবং শিখিমের ঘর থেকে দীণাকে নিয়ে চলে আসল।
27. যে শহরে তাদের বোনের ইজ্জত নষ্ট করা হয়েছিল ইয়াকুবের অন্য সব ছেলে সেখানে ঢুকে লাশগুলো দেখতে পেল এবং শহরটা লুট করল।
28. শহরের ভিতরে এবং বাইরে লোকদের যত গরু-ভেড়া এবং গাধা ছিল তারা সেগুলোও নিয়ে নিল।
29. তারা তাদের সমস্ত ধন্তদৌলত এবং তাদের ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীদের লুট করে নিল; এমন কি, তাদের ঘরের মধ্যে যা ছিল তাও বাদ পড়ল না।
30. ইয়াকুব এর পরে শিমিয়োন ও লেবিকে বললেন, “তোমরা এই দেশের লোকদের কাছে, বিশেষ করে কেনানীয় ও পরিষীয়দের কাছে আমাকে ঘৃণার পাত্র করে তুলে বিপদে ফেলেছ। আমার লোকেরা সংখ্যায় কম। তারা একত্র হয়ে আমাকে হামলা করবে, আর তাতে পরিবারসুদ্ধ আমি মারা পড়ব।”
31. এতে শিমিয়োন ও লেবি বলল, “কিন্তু আমাদের বোনকে কি কারও বেশ্যা ভাবা উচিত?”