1. রাহেলা যখন দেখলেন তিনি ইয়াকুবের কোন সন্তানের মা হতে পারছেন না তখন তাঁর বোনের প্রতি তাঁর মনে হিংসা জাগল। তিনি ইয়াকুবকে বললেন, “আমাকে সন্তান দাও, তা না হলে আমি মরব।”
2. তখন রাহেলার উপর ইয়াকুবের খুব রাগ হল। তিনি বললেন, “আমি আল্লাহ্ নাকি? তিনিই তো তোমাকে বন্ধ্যা করেছেন।”
3. রাহেলা বললেন, “আমার বাঁদী বিল্হাকে নাও। তুমি তার কাছে যাও যাতে তার মধ্য দিয়ে আমি সন্তান কোলে পাই, আর এইভাবে আমিও একটা পরিবার গড়ে তুলতে পারি।”
4. এই বলে রাহেলা তাঁর বাঁদী বিল্হার সংগে ইয়াকুবের বিয়ে দিলেন, আর ইয়াকুবও তার কাছে গেলেন।
5. এতে বিল্হা গর্ভবতী হল এবং তার একটি ছেলে হল।
6. তখন রাহেলা বললেন, “আল্লাহ্ আমার প্রতি সুবিচার করেছেন এবং আমার ফরিয়াদ শুনে আমাকে একটি ছেলে দিয়েছেন।” এইজন্য তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন দান (যার মানে “সুবিচার”)।
7. পরে রাহেলার বাঁদী বিল্হা আবার গর্ভবতী হল, আর এই নিয়ে দুইবার সে ইয়াকুবের ছেলের মা হল।
8. তখন রাহেলা বললেন, “আল্লাহ্কে আমার পক্ষে রেখে আমি আমার বোনের সংগে পাল্লা দিয়েছি আর তাতে আমি জয়ী হয়েছি।” তাই তিনি ছেলেটির নাম দিলেন নপ্তালি (যার মানে “আমার পাল্লা”)।
9. এদিকে লেয়া যখন দেখলেন তাঁর নিজের আর সন্তান হচ্ছে না তখন তিনি তাঁর বাঁদী সিল্পার সংগে ইয়াকুবের বিয়ে দিলেন।
10. তাতে লেয়ার বাঁদী সিল্পার গর্ভে ইয়াকুবের একটি ছেলে হল।
11. তখন লেয়া বললেন, “কি সৌভাগ্য আমার!” এই বলে তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন গাদ (যার মানে “সৌভাগ্য”)।
12. পরে সিল্পা আর একবার ইয়াকুবের ছেলের মা হল।