19. লাবন বললেন, “রাহেলাকে অন্য কোন লোকের হাতে দেবার চেয়ে তোমার হাতে দেওয়াই ভাল। তুমি আমার কাছেই থাক।”
20. এর পর ইয়াকুব রাহেলার জন্য সাত বছর কাজ করলেন। ইয়াকুব রাহেলাকে ভালবাসতেন বলে সেই বছরগুলো তাঁর কাছে মাত্র কয়েক দিন বলে মনে হল।
21. তারপর ইয়াকুব লাবনকে বললেন, “আমার কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যাঁর জন্য আমি কাজ করেছি এবার তাঁকে আমার হাতে তুলে দিন যেন তাঁকে নিয়ে আমি বাস করতে পারি।”
22. তখন লাবন সেই এলাকার সব লোকদের ডেকে একটা মেজবানী দিলেন।
23. পরে রাত হলে তিনি তাঁর মেয়ে লেয়াকে ইয়াকুবের কাছে দিয়ে আসলেন, আর ইয়াকুবও তাঁর সংগে থাকলেন।
24. লাবন তাঁর বাঁদী সিল্পাকেও লেয়ার বাঁদী হিসাবে দিয়েছিলেন।
25. সকাল হলে পর ইয়াকুব আশ্চর্য হয়ে দেখলেন যে, তিনি লেয়া। সেইজন্য তিনি লাবনকে বললেন, “আপনি আমার সংগে এ কি রকম ব্যবহার করলেন? এতদিন কি আমি রাহেলার জন্যই আপনার কাজ করি নি? তবে কেন আপনি আমাকে ঠকালেন?”
26. লাবন বললেন, “বড় মেয়ের আগে ছোট মেয়ের বিয়ে দেওয়া আমাদের দেশের নিয়ম নয়।
27. তুমি এই বিয়ের উৎসব-সপ্তাটা পার হতে দাও। তারপর অন্য মেয়েটিকেও তোমাকে দেওয়া হবে। তবে তার জন্য তোমাকে আরও সাত বছর আমার কাজ করতে হবে।”
28. ইয়াকুব তাঁর কথা মেনে নিয়ে সেই উৎসব-সপ্তাটা শেষ করলেন। তারপর লাবন তাঁর মেয়ে রাহেলাকেও ইয়াকুবের সংগে বিয়ে দিলেন,
29. আর তাঁর বাঁদী বিল্হাকে রাহেলার বাঁদী হিসাবে দিলেন।
30. ইয়াকুব রাহেলার সংগেও থাকলেন। তিনি লেয়ার চেয়ে রাহেলাকে বেশী ভালবাসতেন। এর পর তিনি আরও সাত বছর লাবনের অধীনে কাজ করলেন।
31. লেয়াকে অবহেলা করা হচ্ছে দেখে মাবুদ তাঁকে গর্ভধারণ করবার ক্ষমতা দিলেন, কিন্তু রাহেলা বন্ধ্যা হয়ে রইলেন।
32. লেয়া গর্ভবতী হলেন এবং তাঁর একটি ছেলে হল। তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন রূবেণ (যার মানে “ঐ দেখ, একটি ছেলে”), কারণ তিনি বলেছিলেন, “মাবুদ আমার দুঃখ দেখেছেন, তাই এখন থেকে আমার স্বামী নিশ্চয়ই আমাকে ভালবাসবেন।”
33. এর পর লেয়া আবার গর্ভবতী হলেন এবং তাঁর আর একটি ছেলে হল। তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন শিমিয়োন (যার মানে “তিনি শোনেন”), কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমাকে অবহেলা করবার কথা মাবুদের কানে গিয়ে পৌঁছেছে, সেইজন্য তিনি আমাকে এই ছেলেটিও দিলেন।”