22. “পরে তুমি অনেক রাজ্য ও জাতি তাদের হাতে দিয়েছিলে, এমন কি, তাদের সমস্ত জায়গাও তাদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলে। তারা হিষ্বোণের বাদশাহ্ সীহোনের দেশ ও বাশনের বাদশাহ্ উজের দেশ অধিকার করেছিল।
23. আসমানের তারার মত তুমি তাদের অসংখ্য সন্তান দিয়েছিলে এবং তুমি তাদের সেই দেশে নিয়ে গিয়েছিলে যে দেশে ঢুকে তা অধিকার করবার কথা তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের বলেছিলে।
24. তাদের সন্তানেরা সেই দেশে গিয়ে তা দখল করে নিয়েছিল। সেই দেশে বাসকারী কেনানীয়দের তুমি তাদের সামনে নত করেছিলে। কেনানীয়দের, তাদের বাদশাহ্দের ও দেশের অন্যান্য জাতিদের তুমি তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলে যাতে তারা তাদের উপর যা খুশী তা-ই করতে পারে।
25. তারা দেয়াল-ঘেরা অনেক শহর ও উর্বর জমি অধিকার করেছিল; তারা সব রকম ভাল ভাল জিনিসে ভরা বাড়ী-ঘর ও আগেই খোঁড়া হয়েছে এমন অনেক কূয়া, আংগুর ক্ষেত, জলপাইয়ের বাগান এবং অনেক ফলের গাছ অধিকার করেছিল। তারা খেয়ে তৃপ্ত হয়ে মোটা-সোটা হয়েছিল এবং তোমার দেওয়া প্রচুর মেহেরবানী ভোগ করেছিল।
26. “কিন্তু তবুও তারা অবাধ্য হয়ে তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল; তোমার শরীয়ত তারা ত্যাগ করেছিল। তোমার যে নবীরা তাদের সতর্ক করতেন যাতে তারা তোমার দিকে ফিরে আসে সেই নবীদের তারা মেরে ফেলেছিল; তারা তোমাকে ভীষণ কুফরী করেছিল।
27. কাজেই তুমি শত্রুদের হাতে তাদের তুলে দিয়েছিলে আর শত্রুরা তাদের উপর জুলুম করত। তাদের কষ্টের সময় তারা তোমার কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছিল আর তুমি বেহেশত থেকে তা শুনেছিলে। তুমি প্রচুর মমতায় তাদের কাছে উদ্ধারকারীদের পাঠিয়ে দিয়েছিলে। তারা শত্রুদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করেছিল।
28. “কিন্তু যেই তারা বিশ্রাম পেত অমনি আবার তারা তোমার চোখে যা খারাপ তা-ই করত। এর পর তুমি শত্রুদের হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছিলে যাতে শত্রুরা তাদের কর্তা হতে পারে। কিন্তু আবার যখন তারা তোমার কাছে কাঁদত তখন বেহেশত থেকে তা শুনে তোমার মমতায় তুমি বারে বারে তাদের উদ্ধার করতে।
29. “তোমার শরীয়তের দিকে ফিরে আসবার জন্য তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে কিন্তু তাদের ব্যবহার ছিল অহংকারে পূর্ণ; তারা তোমার সব হুকুম অমান্য করেছিল। তোমার যে সব নির্দেশ পালন করলে মানুষ বাঁচে তার বিরুদ্ধে তারা গুনাহ্ করেছিল। তারা একগুঁয়েমি করে এবং ঘাড় শক্ত করে তোমার কথা শুনতে চায় নি।
30. কিন্তু তবুও অনেক বছর ধরে তুমি তাদের উপর ধৈর্য ধরেছিলে। তোমার নবীদের মধ্য দিয়ে তোমার রূহের দ্বারা তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে, কিন্তু তাতে তারা কান দেয় নি। কাজেই বিভিন্ন জাতির হাতে তুমি তাদের তুলে দিয়েছিলে।
31. কিন্তু তোমার প্রচুর মমতার জন্য তুমি তাদের শেষ করে দাও নি কিংবা ত্যাগ কর নি, কারণ তুমি দয়াময় ও মমতায় পূর্ণ আল্লাহ্।
32. “হে আমাদের আল্লাহ্, তুমি শক্তিশালী ও ভয় জাগানো আল্লাহ্তা’লা। তোমার অটল মহব্বতের ব্যবস্থা তুমি রক্ষা করে থাক। আশেরিয়ার বাদশাহ্দের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই যে সব কষ্ট আমাদের উপরে এবং আমাদের বাদশাহ্দের, নেতাদের, ইমামদের, নবীদের, আমাদের পূর্বপুরুষদের ও তোমার সমস্ত লোকদের উপরে চলছে তা তোমার চোখে যেন সামান্য মনে না হয়।
33. তুমি আমাদের উপর যা কিছু ঘটতে দিয়েছ তাতে তুমি অন্যায় কর নি; তুমি বিশ্বস্ত ভাবে কাজ করেছ আর আমরা অন্যায় করেছি।
34. আমাদের বাদশাহ্রা, নেতারা, ইমামেরা ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা তোমার শরীয়ত মেনে চলেন নি; তোমার হুকুম কিংবা সতর্কবাণী তাঁরা শোনেন নি।
35. তাঁদের রাজত্বকালে তাঁরা তোমার দেওয়া বড় ও উর্বর দেশে প্রচুর মেহেরবানী ভোগ করছিলেন, তবুও তাঁরা তোমার এবাদত করেন নি কিংবা তাঁদের খারাপ পথ থেকে ফেরেন নি।
36. “দেখ, আজ আমরা গোলাম; যে দেশটা তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলে যাতে তারা তার ফল আর সব রকমের ভাল জিনিস খেতে পারে আমরা সেখানেই গোলাম হয়ে রয়েছি।
37. আমাদের গুনাহের দরুন যে বাদশাহ্দের তুমি আমাদের উপরে রাজত্ব করতে দিয়েছ দেশের প্রচুর ফসল তাঁদের কাছেই যায়। তাঁরা তাঁদের খুশী মতই আমাদের শরীরের উপরে ও আমাদের পশুপালের উপরে কর্তৃত্ব করেন। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি।”
38. তারপর লোকেরা লিখল: “এই সব কারণে আমরা এখন নিজেদের মধ্যে লিখিত ভাবে চুক্তি করছি, আর তার উপর আমাদের নেতারা, লেবীয়রা ও ইমামেরা তাঁদের সীলমোহর দিচ্ছেন।”