1. দেয়াল গাঁথা শেষ হলে পর আমি ফটকগুলোর দরজা লাগালাম। তার পরে দরজা-রক্ষী, কাওয়াল ও লেবীয়দের নিযুক্ত করা হল।
2. আমার ভাই হনানি ও কেল্লার সেনাপতি হনানিয়কে আমি জেরুজালেমের ভার দিলাম, কারণ হনানিয় সৎ লোক ছিলেন এবং আল্লাহ্কে অনেকের চেয়ে বেশী ভয় করতেন।
3. আমি তাঁদের বললাম, “রোদ বেশী না হওয়া পর্যন্ত জেরুজালেমের দরজাগুলো যেন খোলা না হয়। রক্ষীদের চলে যাওয়ার আগে যেন দরজাগুলো বন্ধ করা ও হুড়কা দেওয়া হয়। জেরুজালেমের বাসিন্দাদের মধ্য থেকে যেন পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়। তাদের কেউ কেউ থাকুক পাহারা দেবার জায়গায় আর কেউ কেউ থাকুক তাদের নিজের নিজের বাড়ীর কাছে।”
4. এই রকম ব্যবস্থা করা হল, কারণ জেরুজালেম শহরটা ছিল বড় এবং অনেক জায়গা জুড়ে, কিন্তু লোক ছিল খুব কম আর ঘর-বাড়ীও তখন তৈরী করা হয় নি।
5. পরে আল্লাহ্ আমার মনে ইচ্ছা দিলেন যাতে আমি গণ্যমান্য লোকদের, নেতাদের ও সাধারণ লোকদের একত্র করে তাদের বংশ-তালিকা করতে পারি। যারা প্রথমে ফিরে এসেছিল সেই লোকদের বংশ-তালিকা পেলাম। সেখানে যা লেখা ছিল তা এই:
6. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার যে সব বনি-ইসরাইলদের বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই বন্দী অবস্থা থেকে জেরুজালেম ও এহুদায় নিজের নিজের শহর ও গ্রামে ফিরে এসেছিল।
7. এই লোকেরা সরুব্বাবিল, ইউসা, নহিমিয়া, অসরিয়, রয়মিয়া, নহমানি, মর্দখয়, বিল্শন, মিসপরৎ, বিগ্বয়, নাহূম ও বানার সংগে ফিরে এসেছিল।যে সমস্ত ইসরাইলীয় পুরুষ লোকেরা ফিরে এসেছিল তাদের সংখ্যা:
8. পরোশের বংশের লোকেরা দু’হাজার একশো বাহাত্তর জন;
9. শফটিয়ের তিনশো বাহাত্তর জন;
10. আরহের ছ’শো বাহান্ন জন;
11. পহৎ-মোয়াবের বংশের ইউসা ও যোয়াবের বংশের লোকেরা দু’হাজার আটশো আঠারো জন;
12. ইলামের এক হাজার দু’শো চুয়ান্ন জন;
13-15. সত্তূর আটশো পঁয়তাল্লিশ জন; সক্কয়ের সাতশো ষাট জন; বিনুয়ির ছ’শো আটচল্লিশ জন;
16. বেবয়ের ছ’শো আটাশ জন;
17. আস্গদের দু’হাজার তিনশো বাইশ জন;
18. অদোনীকামের ছ’শো সাতষট্টি জন;
19. বিগ্বয়ের দু’হাজার সাতষট্টি জন;
20. আদীনের ছ’শো পঞ্চান্ন জন;
21. যিহিষ্কিয়ের বংশধর আটেরের বংশের আটানব্বইজন।
22. হশুমের তিনশো আটাশ জন;
23. বেৎসয়ের তিনশো চব্বিশ জন;
24. হারীফের একশো বারো জন;
25. গিবিয়োনের পঁচানব্বইজন।
26. বেথেলহেম ও নটোফা গ্রামের লোক একশো অষ্টাশি জন;
27. অনাথোতের লোক একশো আটাশ জন;
28. বৈৎ-অস্মাবতের লোক বিয়াল্লিশ জন;
29. কিরিয়ৎ-যিয়ারীম, কফীরা ও বেরোতের লোক সাতশো তেতাল্লিশ জন;
30. রামা ও গেবার লোক ছ’শো একুশ জন;
31. মিক্মসের লোক একশো বাইশ জন;
32. বেথেল ও অয়ের লোক একশো তেইশ জন;
33. অন্য নবোর লোক বাহান্ন জন;
34. অন্য ইলামের লোক এক হাজার দু’শো চুয়ান্ন জন;
35. হারীমের লোক তিনশো বিশ জন;
36. জেরিকোর লোক তিনশো পয়ঁতাল্লিশ জন;
37. লোদ, হাদীদ এবং ওনোর লোক সাতশো একুশ জন;
38. সনায়ার লোক তিন হাজার ন’শো ত্রিশ জন।
39. ইমামদের সংখ্যা এই: ইউসার বংশের মধ্যে যিদয়িয়ের বংশের ন’শো তেয়াত্তর জন;
40. ইম্মেরের এক হাজার বাহান্ন জন;
41. পশ্হূরের এক হাজার দু’শো সাতচল্লিশ জন;
42. হারীমের এক হাজার সতেরো জন।
43. লেবীয়দের সংখ্যা এই: ইউসার বংশের কদ্মীয়েল ও হোদবিয়ের বংশের লোকেরা চুয়াত্তর জন।
44. কাওয়ালদের সংখ্যা এই: আসফের বংশের একশো আটচল্লিশ জন।
45. বায়তুল-মোকাদ্দসের রক্ষীদের সংখ্যা একশো আটত্রিশ জন। এরা হল শল্লুম, আটের, টল্মোন, অক্কূব, হটীটা ও শোবয়ের বংশের লোক।
46. বায়তুল-মোকাদ্দসের খেদমতকারীরা: এরা হল সীহ, হসূফা ও টব্বায়োতের বংশধরেরা;
47. কেরোস, সীয় ও পাদোনের বংশধরেরা;
48. লবানা, হগাব ও শল্ময়ের বংশধরেরা;
49. হানন, গিদ্দেল ও গহরের বংশধরেরা;
50. রায়া, রৎসীন ও নকোদের বংশধরেরা;
51. গসম, আওস ও পাসেহের বংশধরেরা;
52. বেষয়, মিয়ূনীম ও নফুষযীমের বংশধরেরা;
53. বকবুক, হকূফা ও হর্হূরের বংশধরেরা;
54. বসলীত, মহীদা ও হর্শার বংশধরেরা;
55. বর্কোস, সীষরা ও তেমহের বংশধরেরা;
56. নৎসীহ ও হটীফার বংশধরেরা।
57. সোলায়মানের চাকরদের বংশধরেরা: এরা হল সোটয়, সোফেরত, পরীদা,
58. যালা, দর্কোন, গিদ্দেল,
59. শফটিয়, হটীল, পোখেরৎ-হৎসবায়ীম ও আমোনের বংশধরেরা।
60. বায়তুল-মোকাদ্দসের খেদমতকারীরা ও সোলায়মানের চাকরদের বংশধরেরা মোট তিনশো বিরানব্বই জন।
61. তেল্-মেলহ, তেল্হর্শা, কারুবী, অদ্দন ও ইম্মেরের এলাকা থেকে যারা এসেছিল তারা ইসরাইলীয় বলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারল না। তারা হল:
62. দলায়, টোবিয়, ও নকোদের বংশের ছ’শো বিয়াল্লিশ জন।
63-64. ইমামদের মধ্য থেকে হবায়, হক্কোস, ও বর্সিল্লয়ের বংশধরেরা বংশ-তালিকার মধ্যে তাদের বংশের খোঁজ করেছিল কিন্তু পায় নি বলে নাপাক হিসাবে ইমামদের মধ্য থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল। বর্সিল্লয়কে ঐ নামে ডাকা হত, কারণ সে গিলিয়দীয় বর্সিল্লয়ের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল।
65. শাসনকর্তা তাদের হুকুম দিলেন যতদিন ঊরীম ও তুম্মীম ব্যবহার করবার অধিকারী কোন ইমাম পাওয়া না যায় ততদিন পর্যন্ত তারা যেন মহাপবিত্র খাবারের কিছু না খায়।
66. বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা গোটা দলটার লোকসংখ্যা ছিল বিয়াল্লিশ হাজার তিনশো ষাট জন।
67. এছাড়া সাত হাজার তিনশো সাঁইত্রিশ জন চাকর-চাকরানী এবং দু’শো পঁয়তাল্লিশ জন কাওয়ালও ছিল।
68-69. তাদের চারশো পঁয়ত্রিশটা উট ও ছয় হাজার সাতশো বিশটা গাধা ছিল।
70. বংশের প্রধান লোকদের মধ্যে কেউ কেউ বায়তুল-মোকাদ্দসের কাজের জন্য দান করলেন। শাসনকর্তা ধনভাণ্ডারে দিলেন সাড়ে ছয় কেজি সোনা, পঞ্চাশটা পাত্র ও ইমামদের জন্য পাঁচশো ত্রিশটা পোশাক।
71. বংশের প্রধান লোকদের মধ্যে কেউ কেউ এই কাজের জন্য একশো ত্রিশ কেজি সোনা ও এক হাজার চারশো ত্রিশ কেজি রূপা ধনভাণ্ডারে দিলেন।
72. বাকী লোকেরা দিল মোট একশো ত্রিশ কেজি সোনা, এক হাজার তিনশো কেজি রূপা ও ইমামদের জন্য সাতষট্টিটা পোশাক।
73. ইমামেরা, লেবীয়রা, রক্ষীরা, কাওয়ালেরা, বায়তুল-মোকাদ্দসের খেদমতকারীরা এবং অন্যান্য লোকেরা, অর্থাৎ সমস্ত বনি-ইসরাইল সপ্তম মাসের আগে যে যার গ্রাম ও শহরে বাস করতে লাগল।