6. দেয়ালটা যত উঁচু হবে তার অর্ধেকটা পর্যন্ত এইভাবে আমরা গাঁথলাম, কারণ লোকেরা তাদের সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করছিল।
7. কিন্তু সন্বল্লট, টোবিয়, আরবীয়রা, অম্মোনীয়রা ও অস্দোদের লোকেরা যখন শুনল যে, জেরুজালেমের দেয়াল মেরামতের কাজ এগিয়ে গেছে এবং ফাঁকগুলো বন্ধ করা হচ্ছে তখন তারা খুব রেগে গেল।
8. তারা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র করল যে, তারা গিয়ে জেরুজালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং গোলমাল শুরু করে দেবে।
9. কিন্তু আমরা আমাদের আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করলাম এবং তাদের ভয়ে দিনরাত পাহারা দেবার জন্য ব্যবস্থা করলাম।
10. এর মধ্যে এহুদার লোকেরা বলল, “মজুরেরা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং পড়ে থাকা পাথরের টুকরা এত বেশী যে, আমরা দেয়াল আর গাঁথতে পারব না।”
11. এদিকে আমাদের শত্রুরা বলল, “তারা জানবার আগে কিংবা দেখবার আগেই আমরা সেখানে তাদের মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হব এবং তাদের মেরে ফেলে কাজ বন্ধ করে দেব।”
12. সেইজন্য যে ইহুদীরা তাদের কাছাকাছি বাস করত তারা এসে বারবার আমাদের বলতে লাগল, “তোমরা আমাদের কাছে ফিরে এস।”
13. এই সব শুনে আমি দেয়ালের ভিতরের দিকের নীচু জায়গাগুলোতে দেয়ালের ফাঁকগুলোর কাছে বংশ অনুসারে লোকদের নিযুক্ত করলাম ও তাদের হাতে তলোয়ার, বর্শা ও ধনুক দিলাম।
14. তারপর আমি সব কিছু দেখে-শুনে গণ্যমান্য লোকদের, উঁচু পদের কর্মচারীদের ও বাকী লোকদের বললাম, “ওদের আপনারা ভয় করবেন না। যিনি মহান এবং ভয় জাগানো মালিক, তাঁর কথা মনে করুন আর আপনাদের ভাই, ছেলেমেয়ে, স্ত্রী ও বাড়ীর জন্য যুদ্ধ করুন।”
15. আমাদের শত্রুরা যখন জানতে পারল যে, আমরা তাদের ষড়যন্ত্রের কথা জানি এবং আল্লাহ্ তা বিফল করে দিয়েছেন, তখন আমরা সবাই দেয়ালের কাছে ফিরে গিয়ে যে যার কাজে লেগে গেলাম।
16-17. সেই দিন থেকে আমার অর্ধেক লোক কাজ করতে থাকল আর বাকী অর্ধেক বর্শা, ঢাল, ধনুক ও বর্ম নিয়ে প্রস্তুত হয়ে রইল। এহুদার যে সমস্ত লোক দেয়াল গাঁথছিল তাদের পিছনে থাকতেন তাদের নেতারা। যারা মাল-মসলা বইত তারা এক হাতে কাজ করত আর অন্য হাতে অস্ত্র ধরত।
18. যারা গাঁথত তারা প্রত্যেকে কোমরে তলোয়ার বেঁধে নিয়ে কাজ করত, আর যে শিংগা বাজাত সে আমার কাছে থাকত।
19. পরে আমি গণ্যমান্য লোকদের, উঁচু পদের কর্মচারীদের ও বাকী লোকদের বললাম, “কাজের এলাকাটা বড় এবং তা অনেকখানি জায়গা জুড়ে রয়েছে; সেইজন্য আমরা দেয়াল বরাবর একজনের কাছ থেকে অন্যজন আলাদা হয়ে দূরে দূরে আছি।
20. আপনারা যেখানে শিংগার শব্দ শুনবেন সেখানে আমাদের কাছে জমায়েত হবেন। আমাদের আল্লাহ্ আমাদের হয়ে যুদ্ধ করবেন।”
21. ভোর থেকে শুরু করে অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক লোক বর্শা ধরে থাকত আর আমরা এইভাবেই কাজ করতাম।
22. সেই সময় আমি লোকদের আরও বললাম, “প্রত্যেকে তার চাকরকে নিয়ে রাতের বেলায় যেন জেরুজালেমে থাকে যাতে রাতে পাহারা দিতে পারে এবং দিনের বেলায় কাজ করতে পারে।”