21. কিন্তু আমি তাদের সাবধান করে দিয়ে বললাম, “তোমরা দেয়ালের কাছে কেন রাত কাটা"ছ? তোমরা যদি আবার এই কাজ কর তবে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” সেই থেকে তারা আর বিশ্রামবারে আসত না।
22. তারপর আমি লেবীয়দের হুকুম দিলাম যেন তারা নিজেদের পাক-সাফ করে এবং বিশ্রামবার পবিত্র রাখবার জন্য গিয়ে দরজাগুলো পাহারা দেয়।হে আমার আল্লাহ্, এর জন্যও তুমি আমাকে মনে রেখো এবং তোমার অটল মহব্বত অনুসারে আমাকে রহমত দান কর।
23. সেই সময় আমি এও দেখলাম যে, এহুদার কোন কোন লোক অস্দোদ, অম্মোন ও মোয়াবের মেয়েদের বিয়ে করেছে।
24. তাদের মধ্যে অনেক ছেলেমেয়ে অস্দোদের কিংবা অন্যান্য জাতির ভাষায় কথা বলে। তারা এহুদার ভাষায় কথা বলতে জানে না।
25. আমি তাদের বকুনি দিলাম আর বললাম তাদের উপর যেন বদদোয়া নেমে আসে। তাদের কয়েকজন লোককে আমি মারলাম এবং চুল উপড়ে ফেললাম। আল্লাহ্র নামে আমি তাদের দিয়ে এই কসম খাওয়ালাম যে, তারা বিদেশী ছেলেদের সংগে তাদের মেয়েদের বিয়ে দেবে না এবং নিজেরা বা তাদের ছেলেরা বিদেশী মেয়েদের বিয়ে করবে না।
26. তারপর আমি তাদের বললাম, “ইসরাইলের বাদশাহ্ সোলায়মান এই রকম বিয়ে করবার দরুন গুনাহ্ করেছিলেন। অন্য কোন জাতির মধ্যে তাঁর মত বাদশাহ্ কেউ-ই ছিলেন না এবং আল্লাহ্ তাঁকে মহব্বত করতেন আর তাঁকে সমস্ত বনি-ইসরাইলদের উপর বাদশাহ্ করেছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি বিদেশী স্ত্রীলোকদের দরুন গুনাহ্ করেছিলেন।
27. এখন আমাদের কি এই কথাই শুনতে হবে যে, তোমরাও এই সব ভীষণ দুষ্টতার কাজ করেছ, অর্থাৎ বিদেশী স্ত্রীলোকদের বিয়ে করে আমাদের আল্লাহ্র প্রতি বেঈমানী করেছ?”
28. প্রধান ইমাম ইলিয়াশীবের ছেলে যিহোয়াদার এক ছেলে হোরোণীয় সন্বল্লটের মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সেইজন্য আমি সেই ছেলেকে আমার কাছ থেকে তাড়িয়ে দিলাম।
29. হে আমার আল্লাহ্, এদের কথা মনে রেখো, কারণ এরা ইমামের পদ নাপাক করেছে এবং ইমাম ও লেবীয়দের কাজের চুক্তি ভেংগেছে।
30. এইভাবে আমি সকলের মধ্য থেকে বিদেশীয় সব কিছু দূর করে দিলাম। পরে ইমাম ও লেবীয়দের কাজ অনুসারে তাদের প্রত্যেকের কাজ ভাগ করে দিলাম।
31. এছাড়া সময় মত কাঠ ও প্রথমে তোলা ফসল আনবার জন্যও আমি ব্যবস্থা করলাম।হে আমার আল্লাহ্, আমার উপকার করবার জন্য আমাকে স্মরণ কোরো।