অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 12 Kitabul Mukkadas (MBCL)

একটিমাত্র এবাদতের স্থান

1. “তোমাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্‌ যে দেশ তোমাদের দখল করবার জন্য দিয়েছেন সেখানে সারা জীবন এই সব নিয়ম ও নির্দেশ যত্নের সংগে তোমাদের পালন করতে হবে।

2. তোমরা যে সমস্ত জাতিদের বেদখল করতে যাচ্ছ তারা যে সব ছোট-বড় পাহাড়ের উপরে ও ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে তাদের দেব-দেবীর পূজা করে সেই জায়গাগুলো তোমরা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবে।

3. তাদের বেদীগুলো ভেংগে দেবে, পূজার পাথরগুলো চুরমার করে দেবে, পূজার আশেরা-খুঁটিগুলো পুড়িয়ে দেবে, দেব-দেবীর মূর্তিগুলো ভেংগে ফেলে দেবে এবং এইভাবে সেই সব জায়গা থেকে তাদের দেব-দেবীদের নাম মুছে ফেলবে।

4. “তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র এবাদত তাদের পূজার মত করে করবে না।

5. কিন্তু তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য তোমাদের সব গোষ্ঠীকে দেওয়া জায়গা থেকে যে জায়গাটা তাঁর বাসস্থান হিসাবে বেছে নেবেন তোমরা সেখানেই তাঁর এবাদতের জন্য যাবে।

6. তোমরা তোমাদের পোড়ানো-কোরবানী এবং অন্যান্য পশু-কোরবানী, তোমাদের আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ, তোমাদের বিশেষ দান এবং মানত-পূরণের কোরবানী, তোমাদের নিজেদের ইচ্ছায় করা কোরবানী এবং তোমাদের গরু-ছাগল-ভেড়ার প্রথম বাচ্চা সেখানেই নিয়ে যাবে।

7. সেখানেই তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র সামনে তোমরা ও তোমাদের পরিবারের লোকেরা খাওয়া-দাওয়া করবে এবং তাঁর দোয়া অনুসারে পাওয়া তোমাদের পরিশ্রমের ফল নিয়ে তোমরা আনন্দ করবে।

8-9. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ শান্তিতে বাস করবার জন্য যে সম্পত্তি তোমাদের দিতে যাচ্ছেন তোমরা এখনও সেখানে পৌঁছাও নি। তোমরা সেই দেশে গেলে পর আমরা যেমন আজ এখানে যার চোখে যা ভাল তা-ই করছি তোমরা সেখানে তা করবে না।

10. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ সম্পত্তি হিসাবে যে দেশ তোমাদের দিচ্ছেন তোমরা জর্ডান নদী পার হয়ে গিয়ে যখন সেই দেশে বাস করতে থাকবে তখন তিনি তোমাদের চারপাশের শত্রুদের সংগে লড়াই থেকে তোমাদের বিশ্রাম দেবেন, আর তোমরা নিরাপদে সেখানে বাস করতে পারবে।

11. তখন তিনি নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য যে জায়গাটা তাঁর বাসস্থান হিসাবে বেছে নেবেন সেখানে তোমরা আমার হুকুম করা সব জিনিস নিয়ে আসবে- তোমাদের পোড়ানো-কোরবানী ও অন্যান্য পশু-কোরবানী, তোমাদের আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ, বিশেষ দান এবং তোমাদের বাছাই করা জিনিস যা তোমরা মাবুদের কাছে মানত করেছ।

12. সেখানে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র সামনে তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়েরা, তোমাদের গোলামেরা এবং তোমাদের গ্রাম ও শহরের লেবীয়রা যাদের নিজের বলতে কোন জায়গা-জমি কিংবা সম্পত্তি নেই তোমরা সবাই আনন্দ করবে।

13. দেখো, যেন তোমাদের খুশীমত যে কোন জায়গায় তোমরা পোড়ানো-কোরবানী না কর।

14. তোমাদের গোষ্ঠীগুলোকে দেওয়া জায়গা থেকে যে জায়গাটা মাবুদ বেছে নেবেন সেখানেই তোমরা ঐ সব পোড়ানো-কোরবানী দেবে আর সেখানেই তোমরা আমার হুকুম করা সব কিছু করবে।

15. “তবে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তোমাদের দোয়া করে যে সব পশু দেবেন তা তোমরা যে কোন গ্রামে বা শহরে জবাই করে তোমাদের খুশীমত গোশ্‌ত খেতে পারবে, যেমন করে তোমাদের পাক-নাপাক সব লোকেরা কৃষ্ণসার কিংবা হরিণের গোশ্‌ত খায়।

16. কিন্তু তোমাদের জন্য রক্ত খাওয়া হারাম; তা পানির মত করে মাটিতে ঢেলে দিতে হবে।

17. এছাড়া তোমাদের শস্য, নতুন আংগুর-রস ও তেলের দশ ভাগের এক ভাগ, গরু-ছাগল-ভেড়ার প্রথম বাচ্চা, তোমাদের মানত করা জিনিস, তোমাদের নিজের ইচ্ছায় করা কোন কোরবানী এবং বিশেষ দান তোমাদের নিজেদের গ্রাম বা শহরের মধ্যে খাওয়া চলবে না।

18. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র বেছে নেওয়া জায়গায় তাঁর সামনে এগুলো তোমাদের খেতে হবে। তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়েরা, তোমাদের গোলামেরা এবং তোমাদের গ্রাম ও শহরের লেবীয়রা তা খাবে এবং তোমাদের পরিশ্রমের ফল নিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র সামনে আনন্দ করবে।

19. তোমাদের দেশে তোমরা যতদিন বাস করবে ততদিন লেবীয়দের প্রতি তোমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

20. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তাঁর ওয়াদা অনুসারে তোমাদের দেশের সীমানা বাড়িয়ে দেবার পরে যখন তোমরা গোশ্‌ত খাবার ইচ্ছা নিয়ে বলবে, ‘গোশ্‌ত খাব,’ তখন তোমরা খুশীমত গোশ্‌ত খেতে পারবে।

21. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য যে জায়গাটা বেছে নেবেন সেটা যদি তোমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে হয়, তবে আমার দেওয়া হুকুম অনুসারে তোমরা মাবুদের দেওয়া গরু-ভেড়ার পাল থেকে পশু নিয়ে জবাই করতে পারবে এবং যার যার গ্রাম ও শহরে খুশীমত গোশ্‌ত খেতে পারবে।

22. কৃষ্ণসার কিংবা হরিণের গোশ্‌তের মতই তোমরা তা খাবে। পাক-নাপাক সবাই তা খেতে পারবে।

23. কিন্তু সাবধান! রক্ত খাবে না, কারণ রক্তই হল প্রাণ, আর তোমরা গোশ্‌তের সংগে সেই প্রাণ খাবে না।

24. তোমরা রক্ত খাবে না, তা পানির মত করে মাটিতে ঢেলে দেবে।

25. তোমাদের ও তোমাদের পরে তোমাদের সন্তানদের যাতে উন্নতি হয় সেইজন্য তোমরা রক্ত খাবে না; তাহলে মাবুদের চোখে যা ভাল তা-ই করা হবে।

26. “মাবুদের বেছে নেওয়া জায়গায় তোমাদের পাক-পবিত্র জিনিস এবং মানতের জিনিস নিয়ে যেতে হবে।

27. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কোরবানগাহের উপর তোমরা তোমাদের পোড়ানো-কোরবানীর গোশ্‌ত ও রক্ত কোরবানী দেবে। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কোরবানগাহের গায়ে তোমাদের কোরবানী করা পশুর রক্ত ঢেলে দিতে হবে, কিন্তু তার গোশ্‌ত তোমরা খেতে পারবে।

28. তোমাদের ও তোমাদের পরে তোমাদের ছেলেমেয়েদের যাতে সব সময় উন্নতি হয় সেইজন্য আমার দেওয়া এই সব হুকুম তোমরা যত্নের সংগে পালন করবে, কারণ তা করলে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র চোখে যা ন্যায় এবং ভাল তা-ই করা হবে।

29-30. “যে সব জাতিদের তোমরা বেদখল করতে যাচ্ছ তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তোমাদের সামনে থেকে তাদের একেবারে ধ্বংস করে দেবেন। কিন্তু তাদের বেদখল করবার পর যখন তোমরা তাদের দেশে বাস করবে তখন সাবধান হবে যাতে তোমাদের সামনে থেকে তারা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর তাদের দেব-দেবীর বিষয় খোঁজ নিতে গিয়ে তোমরা ফাঁদে না পড় এবং জিজ্ঞাসা না কর, ‘এই সব জাতি কেমন করে তাদের দেব-দেবীর পূজা করত?’ আর শেষে বল, ‘আমরাও তা-ই করব।’

31. তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র এবাদত তাদের পূজার মত করে করবে না, কারণ তাদের দেব-দেবীর পূজায় তারা এমন সব জঘন্য কাজ করে যা মাবুদ ঘৃণা করেন। এমন কি, তারা তাদের দেব-দেবীর কাছে তাদের ছেলেমেয়েদের আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী করে।

32. “আমি তোমাদের যে যে হুকুম দিলাম সেই সব তোমরা পালন করবে; এর সংগে কিছু যোগও দেবে না, আবার এর থেকে কিছু বাদও দেবে না।