15. “এখন হে আমাদের আল্লাহ্ মালিক, তুমি শক্তিশালী হাত দিয়ে তোমার বান্দাদের মিসর থেকে বের করে এনে সুনাম লাভ করেছিলে, আর তা আজ পর্যন্তও রয়েছে। আমরা গুনাহ্ করেছি, খারাপ কাজ করেছি।
16. হে মালিক, তোমার ন্যায্যতা অনুসারে তোমার শহর, অর্থাৎ তোমার পবিত্র পাহাড় জেরুজালেম থেকে তোমার রাগ ও গজব দূর করে দাও। আমাদের গুনাহ্ ও আমাদের পূর্বপুরুষদের অন্যায়ের জন্য আমাদের চারপাশের লোকদের কাছে জেরুজালেম ও তোমার বান্দারা টিট্কারির পাত্র হয়েছে।
17. “এখন, হে আমাদের আল্লাহ্, তোমার গোলামের মুনাজাত ও মিনতি শোন। হে মালিক, তোমার সুনাম রক্ষার জন্য ধ্বংস হয়ে যাওয়া তোমার ঘরের প্রতি তুমি দয়ার চোখে তাকাও।
18. হে আমার আল্লাহ্, তুমি কান দাও, শোন; তোমার চোখ খোল এবং যে শহর তোমার নামে পরিচিত তার ধ্বংস একবার দেখ। আমাদের নিজেদের গুণে নয় বরং তোমার মহা দয়ার জন্যই আমরা তোমার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
19. হে মালিক, শোন। হে মালিক, মাফ কর। হে মালিক, মনোযোগ দাও, কিছু কর। হে আমার আল্লাহ্, তোমার সুনাম রক্ষার জন্য আর দেরি কোরো না, কারণ তোমার শহর ও তোমার বান্দারা তোমার নামেই পরিচিত।”
20. এইভাবে আমি মুনাজাত করছিলাম, আমার ও আমার জাতি বনি-ইসরাইলদের গুনাহ্ স্বীকার করছিলাম এবং আমার মাবুদ আল্লাহ্র কাছে তাঁর পবিত্র পাহাড়ের জন্য অনুরোধ করছিলাম।
21. আমি তখনও মুনাজাত করছিলাম এমন সময় আগের দর্শনে আমি যাঁকে দেখেছিলাম সেই জিবরাইল ফেরেশতা সন্ধ্যার কোরবানীর সময়ে বেগে উড়ে আমার কাছে আসলেন।
22. তিনি আমাকে বুঝিয়ে বললেন, “দানিয়াল, আমি এখন তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা ও বুদ্ধি দিতে এসেছি।
23. তুমি মুনাজাত করতে শুরু করতেই আল্লাহ্ তার জবাব দিয়েছেন, আর তা আমি তোমাকে জানাতে এসেছি, কারণ তিনি তোমাকে খুবই মহব্বত করেন। কাজেই এই সংবাদের বিষয় তুমি চিন্তা করে দেখ ও দর্শনটা বুঝে নাও।
24. “তোমার লোকদের ও তোমার পবিত্র শহরের জন্য সত্তর গুণ সাত বছর ঠিক করা হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে খারাপী বন্ধ করা হবে, অন্যায়ের শেষ হবে, গুনাহ্ ঢাকা দেওয়া হবে, চিরস্থায়ী ন্যায্যতা স্থাপন করা হবে, দর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করা হবে এবং মহাপবিত্র স্থানকে অভিষেক করা হবে।