16. যাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমি তাঁদের একজনের কাছে এগিয়ে গিয়ে এই সবের অর্থ জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি আমাকে এই কথা বলে ঐ সবের অর্থ বুঝিয়ে দিলেন,
17. ‘ঐ চারটা বিরাট জন্তু হল দুনিয়ার চারটা রাজ্য।
18. কিন্তু শেষে আল্লাহ্তা’লার বান্দারা কর্তৃত্ব পেয়ে চিরকাল, জ্বী, চিরকাল রাজত্ব করবে।’
19. “তখন আমি সেই চতুর্থ জন্তুটার অর্থ জানতে চাইলাম। এটা সেই জন্তু যে অন্য সবগুলোর চেয়ে ভিন্ন এবং ভয়ংকর ছিল, যার লোহার দাঁত ও ব্রোঞ্জের নখ ছিল, যে জন্তুটা তার শিকার চুরমার করে গিলে ফেলেছিল এবং বাকীটা পায়ে মাড়িয়েছিল।
20. তার মাথার দশটা শিং সম্বন্ধে এবং অন্য যে শিংটা উঠেছিল, যার সামনে তিনটা শিং পড়ে গিয়েছিল, যার চোখ ও বড়াই-করা মুখ ছিল এবং যেটা অন্যগুলোর চেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল, সেই শিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলাম।
21. তারপর আমি দেখলাম সেই শিংটা আল্লাহ্র বান্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাঁদের হারিয়ে দিচ্ছিল,
22. যে পর্যন্ত না সেই বৃদ্ধ এসে আল্লাহ্তা’লার বান্দাদের পক্ষে রায় দিলেন। এর পর থেকে আল্লাহ্র বান্দারা রাজত্ব করতে লাগলেন।
23. “তারপর তিনি আমাকে এই রকম ব্যাখ্যা দিলেন, ‘চতুর্থ জন্তুটা হল দুনিয়ার চতুর্থ রাজ্য। সেটা অন্য রাজ্যগুলোর চেয়ে আলাদা হবে এবং গোটা দুনিয়াকে মাড়িয়ে চুরমার করে গ্রাস করবে।
24. সেই দশটা শিং হল দশজন বাদশাহ্ যারা এই রাজ্যে রাজত্ব করবে। তাদের পরে আর একজন বাদশাহ্ উঠবে, সে আগের বাদশাহ্দের চেয়ে অন্য রকম হবে; সে তিনজন বাদশাহ্কে হারিয়ে দেবে।
25. আল্লাহ্তা’লার বিরুদ্ধে সে কথা বলবে এবং তাঁর বান্দাদের উপর জুলুম করবে। সে নির্দিষ্ট করা দিনগুলো ও শরীয়ত বদলাতে চেষ্টা করবে। আল্লাহ্র সেই বান্দাদের সাড়ে তিন বছরের জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
26. কিন্তু পরে তার বিচার করা হবে এবং তার ক্ষমতা তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে, আর তা চিরকালের জন্য সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হবে।
27. তারপর রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও দুনিয়ার সমস্ত রাজ্যগুলোর শক্তি আল্লাহ্তা’লার বান্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাঁদের রাজ্য হবে চিরস্থায়ী এবং সব বাদশাহ্রা তাঁদের সেবা করবে ও তাঁদের বাধ্য হবে।’