4. এতে সেই রাজ-পরিচালকেরা ও সেই শাসনকর্তারা সরকারী কাজের ব্যাপারে দানিয়ালের দোষ ধরবার চেষ্টা করতে লাগলেন, কিন্তু পারলেন না। তাঁর মধ্যে তাঁরা কোন দোষ খুঁজে পেলেন না, কারণ তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন, কোন দোষ বা অবহেলা তাঁর মধ্যে ছিল না।
5. শেষে সেই লোকেরা বললেন, “ঐ দানিয়ালকে দোষী করবার জন্য তার বিরুদ্ধে আমরা কখনও কোন দোষ খুঁজে পাব না, কেবল তার আল্লাহ্র শরীয়ত নিয়ে যদি কিছু পাই।”
6. তখন রাজ-পরিচালকেরা ও প্রদেশের শাসনকর্তারা দল বেঁধে বাদশাহ্র কাছে গিয়ে বললেন, “মহারাজ দারিয়ুস, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন।
7. সমস্ত রাজ-পরিচালক, প্রদেশগুলোর পরিচালক ও শাসনকর্তা, পরামর্শদাতা ও বিভাগের শাসনকর্তারা সবাই এই কথায় রাজী হয়েছেন যে, মহারাজ যেন একটা কড়া হুকুম জারি করেন। সেই হুকুম হল, এর পরের ত্রিশ দিন যদি কেউ, হে মহারাজ, আপনি ছাড়া কোন দেবতা বা মানুষের কাছে মুনাজাত করে তবে তাকে সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হবে।
8. এখন হে মহারাজ, আপনি সেই হুকুম লিখিতভাবে দেবেন যাতে এটাও মিডীয় ও পারসীকদের আরও একটা আইন হয় যা বাতিল করা বা বদলানো যায় না।”
9. তখন বাদশাহ্ দারিয়ুস সেই লিখিত হুকুমে স্বাক্ষর করলেন।
10. হুকুমে স্বাক্ষর দেওয়া হয়ে গেছে শুনে দানিয়াল তাঁর বাড়ীর উপর তলার ঘরে গেলেন; সেই ঘরের জানালা জেরুজালেমের দিকে খোলা ছিল। তিনি নিজের অভ্যাস মতই দিনে তিনবার হাঁটু পেতে মুনাজাত করে তাঁর আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন।
11. তখন সেই লোকেরা দল বেঁধে সেখানে গিয়ে দানিয়ালকে আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করতে ও মিনতি জানাতে দেখলেন।
12. এতে তাঁরা বাদশাহ্র কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁর দেওয়া হুকুমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি কি এই হুকুম জারি করেন নি যে, এর পরের ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি কেউ আপনি ছাড়া কোন দেবতা বা মানুষের কাছে মুনাজাত করে তবে তাকে সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হবে?”বাদশাহ্ জবাব দিলেন, “মিডীয় ও পারসীকদের আইন অনুসারে এই হুকুম স্থির আছে, কারণ সেই আইন বাতিল করা যায় না।”
13. তখন তাঁরা বাদশাহ্কে বললেন, “হে মহারাজ, দানিয়াল নামে এহুদা দেশের বন্দীদের একজন আপনার কথায় কিংবা যে হুকুমে আপনি স্বাক্ষর করেছেন তাতে কান দেয় না। সে এখনও দিনে তিনবার মুনাজাত করে।”
14. বাদশাহ্ এই কথা শুনে খুবই দুঃখিত হলেন; দানিয়ালকে তিনি রক্ষা করবেন বলে মনে মনে স্থির করলেন এবং তাঁকে উদ্ধার করবার জন্য সূর্য না ডোবা পর্যন্ত সব রকম চেষ্টা করলেন।