19. ভোরের প্রথম আলো দেখা দিতেই বাদশাহ্ উঠে তাড়াতাড়ি করে সেই সিংহের গর্তের দিকে গেলেন।
20. গর্র্তের কাছে গিয়ে তিনি কাতর স্বরে দানিয়ালকে ডেকে বললেন, “হে আল্লাহ্র গোলাম দানিয়াল, তুমি সব সময় যাঁর এবাদত কর তোমার সেই আল্লাহ্ কি তোমাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন?”
21. দানিয়াল জবাব দিলেন, “হে মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন।
22. আমার আল্লাহ্ তাঁর ফেরেশতা পাঠিয়ে সিংহদের মুখ বন্ধ করেছিলেন। তারা আমাকে আঘাত করে নি, কারণ আল্লাহ্র চোখে আমি নির্দোষ ছিলাম। হে মহারাজ, আপনার কাছেও আমি কোন দোষ করি নি।”
23. তখন বাদশাহ্ খুব খুশী হলেন এবং সেই গর্ত থেকে দানিয়ালকে তুলে আনবার হুকুম দিলেন। দানিয়ালকে তোলা হলে পর তাঁর গায়ে কোন আঘাত দেখা গেল না, কারণ তিনি তাঁর আল্লাহ্র উপরে ভরসা করেছিলেন।
24. যে লোকেরা হিংসা করে দানিয়ালকে দোষ দিয়েছিল বাদশাহ্র হুকুমে তাদের নিয়ে আসা হল এবং স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে সুদ্ধ তাদের সেই সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হল। তারা সেই গর্তের মেঝেতে পড়তে না পড়তেই সিংহেরা তাদের আক্রমণ করে তাদের হাড়গোড় পর্যন্ত চুরমার করে দিল।
25. এর পর বাদশাহ্ দারিয়ুস সমস্ত জাতির, দেশের ও ভাষার লোকদের কাছে এই কথা লিখলেন: “তোমাদের প্রচুর উন্নতি হোক!
26. আমি হুকুম দিচ্ছি যে, আমার রাজ্যের সমস্ত লোক যেন দানিয়ালের আল্লাহ্কে ভয় করে, কারণ তিনিই জীবন্ত আল্লাহ্ ও চিরকাল স্থায়ী। তাঁর রাজ্য ধ্বংস হবে না, তাঁর কর্তৃত্ব কখনও শেষ হবে না।
27. তিনি রক্ষা ও উদ্ধার করেন; তিনি আসমানে ও জমীনে নানা অলৌকিক চিহ্ন ও কুদরতি দেখান। তিনি সিংহদের হাত থেকে দানিয়ালকে রক্ষা করেছেন।”
28. এইভাবে দারিয়ুস ও পারসীক বাদশাহ্ কাইরাসের রাজত্বের সময়ে দানিয়াল ভাল অবস্থায় ছিলেন।