31. কথাগুলো তাঁর মুখে থাকতে থাকতেই বেহেশত থেকে কেউ বললেন, “হে বাদশাহ্ বখতে-নাসার, তোমাকে বলা হচ্ছে যে, তোমার রাজ্য তোমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
32. তোমাকে লোকদের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তুমি পশুদের সংগে বাস করবে; ষাঁড়ের মত তুমি ঘাস খাবে। যে পর্যন্ত না তুমি মেনে নেবে যে, আল্লাহ্তা’লা মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে কর্তৃত্ব করেন এবং সেই সব রাজ্য যাকে ইচ্ছা তাকে দেন সেই পর্যন্ত সাত বছর চলে যাবে।”
33. বখতে-নাসারের সম্বন্ধে যা বলা হয়েছিল তখনই তা পূর্ণ হল। মানুষের কাছ থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হল এবং তিনি ষাঁড়ের মত ঘাস খেতে লাগলেন। তাঁর শরীর আকাশের শিশিরে ভিজতে লাগল; তাঁর চুলগুলো ঈগল পাখীর পালখের মত হয়ে উঠল আর তাঁর নখগুলো পাখীর পায়ের নখের মত হয়ে গেল।
34. সেই সময় শেষ হয়ে গেলে পর আমি বখতে-নাসার বেহেশতের দিকে চোখ তুললাম এবং আমার মনের সুস্থতা ফিরে আসল। তখন আমি আল্লাহ্তা’লার গৌরব করলাম; যিনি চিরকাল জীবিত আছেন আমি তাঁকে সম্মান দেখালাম ও তাঁর প্রশংসা করলাম। আমি বললাম, “আল্লাহ্র রাজ্য অনন্তকালের রাজ্য; তাঁর রাজত্ব যুগের পর যুগ স্থায়ী।
35. দুনিয়ার সমস্ত লোক তাঁর কাছে যেন কিছুই নয়। তিনি ফেরেশতাদের ও দুনিয়ার লোকদের নিয়ে তাঁর ইচ্ছামত কাজ করেন। এমন কেউ নেই যে, তাঁর হাত থামিয়ে দিতে পারে কিংবা তাঁকে বলতে পারে, ‘তুমি কি করছ?’ ”
36. যখন আমার মনের সুস্থতা ফিরে আসল তখন আমার রাজ্যের সম্মানের জন্য আমার জাঁকজমক ও গৌরব আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। আমার মন্ত্রীরা ও প্রধান লোকেরা আমাকে খুঁজে বের করল এবং আমাকে আবার সিংহাসনে বসানো হল আর আমি আগের চেয়েও বেশী মহান হলাম।
37. এখন আমি বখতে-নাসার সেই বেহেশতের বাদশাহ্র প্রশংসা, সম্মান ও গৌরব করি, কারণ তিনি যা কিছু করেন তা ঠিক, আর তাঁর সব পথই ন্যায়ে পূর্ণ। যারা অহংকারের বশে চলে তাদের তিনি নীচু করতে পারেন।