6. দেশের লোকদের উপর আমি আর দয়া করব না; আমি প্রত্যেকজনকে তার প্রতিবেশী ও বাদশাহ্র হাতে তুলে দেব। তারা দেশটাকে ধ্বংস করবে এবং তাদের হাত থেকে আমি কাউকে উদ্ধার করব না।”
7. জবাই করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়ে আছে, বিশেষ করে সেই পালের দুঃখীদের আমি চরাতে লাগলাম। তারপর আমি দু’টা লাঠি নিলাম এবং তার একটার নাম দিলাম রহমত ও অন্যটার নাম দিলাম মিলন; আর আমি সেই ভেড়ার পাল চরাতে থাকলাম।
8. এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন পালককে দূর করে দিলাম। পরে সেই পাল আমাকে ঘৃণা করতে লাগল আর আমিও তাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম।
9. আমি বললাম, “আমি তোমাদের পালক হব না। যার মরবার কথা আছে সে মরুক এবং যার দূর হয়ে যাবার কথা আছে সে দূর হয়ে যাক। বাকীরা একে অন্যের গোশ্ত খাক।”
10. তারপর আমি রহমত নামে সেই লাঠিটা নিয়ে ভেংগে ফেলে সমস্ত জাতির সংগে আমার যে চুক্তি ছিল তা বাতিল করলাম।
11. সেই দিনেই তা বাতিল হল, কাজেই পালের দুঃখীরা যারা আমাকে লক্ষ্য করছিল তারা জানতে পারল যে, এই সবের মধ্য দিয়ে মাবুদই কথা বলছেন।
12. আমি তাদের বললাম, “আপনারা যদি ভাল মনে করেন তবে আমার বেতন দিন; কিন্তু যদি ভাল মনে না করেন তবে তা রেখে দিন।” তখন তারা আমাকে ত্রিশটা রূপার টুকরা দিল।
13. তখন মাবুদ আমাকে বললেন, “আহা, কি সেই দাম যা তারা আমার মূল্য হিসাবে ঠিক করেছিল! ওটা কুমারের কাছে ফেলে দাও।” তারপর আমি সেই ত্রিশটা রূপার টুকরা নিয়ে মাবুদের ঘরে কুমারের কাছে ফেলে দিলাম।
14. পরে আমি মিলন নামে সেই দ্বিতীয় লাঠিটা ভেংগে এহুদা ও ইসরাইলের মধ্যে ভাইয়ের যে সম্বন্ধ ছিল তা নষ্ট করলাম।
15. তখন মাবুদ আমাকে বললেন, “এবার তুমি আবার একজন বাজে রাখালের জিনিসপত্র নাও।
16. দেশের উপরে আমি এমন একজন পালককে তুলব যে বিপদে পড়া লোকদের দেখাশোনা করবে না, যারা ছড়িয়ে পড়েছে তাদের খোঁজ করবে না, যারা আঘাত পেয়েছে তাদের সুস্থ করবে না, স্বাস্থ্যবানদের খাওয়াবে না; কিন্তু সে বাছাই করা ভেড়াগুলোর গোশ্ত খাবে এবং তাদের খুর থেকেও গোশ্ত ছিড়ে খাবে।