32. তবুও তারা গুনাহ্ করতেই থাকল,তাঁর কুদরতি দেখেও তাঁর উপর ঈমান আনল না।
33. তাই তিনি তাদের দিনগুলো বিফলতায় শেষ করে দিলেনআর বছরগুলো শেষ করে দিলেন ভয়ের মধ্য দিয়ে।
34. তিনি তাদের মেরে ফেলার পরবাকী লোকেরা তাঁর কথা মনে করল;তারা আবার তাঁর দিকে ফিরেআগ্রহের সংগে তাঁকে ডাকল।
35. তাদের মনে পড়ল আল্লাহ্ তাদের আশ্রয়-পাহাড়,আল্লাহ্তা’লা তাদের মুক্তিদাতা।
36. কিন্তু তারা তখন মুখ দিয়ে ছলনা করল,জিভ্ দিয়ে তাঁর কাছে মিথ্যা কথা বলল।
37. তাদের অন্তর তাঁর প্রতি স্থির ছিল না;তাঁর ব্যবস্থার প্রতি তারা বিশ্বস্ত ছিল না।
38. তবুও তিনি মমতায় পূর্ণ বলে তাদের অন্যায় মাফ করলেন,তাদের ধ্বংস করলেন না;তাঁর রাগ তিনি বার বার দমন করলেন,তাঁর সম্পূর্ণ ক্রোধ জ্বলে উঠল না।
39. তিনি ভেবে দেখলেন তারা মানুষ মাত্র,তারা বয়ে যাওয়া বাতাসের মত যা ফিরে আসে না।
40. মরুভূমিতে কতবার তাঁর বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ করেছে,সেই মরুভূমিতে কতবার তাঁকে দুঃখ দিয়েছে।
41. বার বার তারা আল্লাহ্কে পরীক্ষা করেছে,ইসরাইলের আল্লাহ্ পাককে কষ্ট দিয়েছে।
42. তারা তাঁর শক্তির কথা মনে রাখে নি;মনে রাখে নি সেই দিনের কথা-যেদিন তিনি শত্রুর হাত থেকে তাদের মুক্ত করেছিলেন,
43. যেদিন মিসরে তিনি চিহ্ন দেখিয়েছিলেনআর অলৌকিক চিহ্ন দেখিয়েছিলেন সোয়ন এলাকায়।
44. সেদিন তাদের সমস্ত নদীর পানি তিনি রক্ত করে দিয়েছিলেনআর সেই পানি তারা খেতে পারে নি।
45. তাদের মধ্যে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পোকা পাঠালেন,সেগুলো তাদের যেন খেয়ে শেষ করে দিল।তিনি ব্যাঙের দল পাঠিয়ে দিলেন,সেগুলো তাদের সর্বনাশ করল।
46. তাদের শস্য তিনি ফড়িংকে দিলেনআর তাদের ফসল দিলেন পংগপালকে।
47. শিলাবৃষ্টি দিয়ে তাদের আংগুর লতা তিনি নষ্ট করে দিলেন;জমে যাওয়া শিশির দিয়ে ডুমুর গাছ নষ্ট করে দিলেন।
48. তিনি শিলাবৃষ্টির হাতে তাদের গরুর পাল তুলে দিলেনআর বাজ পড়ার হাতে তুলে দিলেন তাদের পশুর পাল।
49. তিনি তাদের বিরুদ্ধে তাঁর জ্বলন্ত উপ্চে পড়া ভীষণ রাগআর দুঃখ-কষ্ট পাঠিয়ে দিলেন;সেগুলো হল ধ্বংসের কাজে নিযুক্ত একদল ফেরেশতা।