25. জবাবে তারা বলল, “আমরা খুশী হয়েই তা দেব।” কাজেই তারা একটা কাপড় পাতল এবং প্রত্যেকে তার লুটের জিনিস থেকে তার উপর একটা করে কানের গহনা ফেলল।
26. তাতে যে পরিমাণ সোনা তিনি পেলেন তার ওজন গিয়ে দাঁড়াল প্রায় বিশ কেজি পাঁচশো গ্রাম। এছাড়া তাঁর পাওয়া চন্দ্রহার, পদক, মাদিয়ানীয় বাদশাহ্দের পরনের বেগুনে পোশাক কিংবা উটের গলার হার এর মধ্যে ধরা হয় নি।
27. গিদিয়োন সেই সব সোনা দিয়ে একটা এফোদ তৈরী করে তাঁর নিজের গ্রাম অফ্রাতে রাখলেন। বনি-ইসরাইলরা সকলে সেখানে মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে এফোদের পূজায় নিজেদের বিকিয়ে দিল। সেটাই হয়ে দাঁড়াল গিদিয়োন ও তাঁর পরিবারের জন্য একটা ফাঁদ।
28. এইভাবেই বনি-ইসরাইলরা মাদিয়ানীয়দের দমন করে রাখল; তারা আর মাথা তুলতে পারল না। গিদিয়োনের জীবনের বাকী চল্লিশ বছর দেশে শান্তি ছিল।
29. সেই যুদ্ধের পরে যোয়াশের ছেলে যিরুব্বাল বাড়ী ফিরে গেলেন।
30. তাঁর অনেকগুলো স্ত্রী ছিল বলে তাঁর নিজেরই সত্তরজন ছেলে ছিল।
31. শিখিমে তাঁর একজন উপস্ত্রী ছিল। তার ঘরেও তাঁর একটি ছেলে হয়েছিল। গিদিয়োন তাঁর নাম দিয়েছিলেন আবিমালেক।
32. যোয়াশের ছেলে গিদিয়োন বুড়ো বয়সে ইন্তেকাল করলেন। অবীয়েষ্রীয়দের অফ্রাতে তাঁর বাবা যোয়াশের কবরে তাঁকে দাফন করা হল।
33. গিদিয়োনের ইন্তেকালের পর পরই বনি-ইসরাইলরা আবার মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে বাল-দেবতাদের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিল। তারা বাল-বরীৎকে নিজেদের দেবতা করে নিল।
34. যিনি তাদের চারপাশের সমস্ত শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন তাদের সেই মাবুদ আল্লাহ্কে তারা ভুলে গেল।