ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

কাজীগণ 6:12-30 Kitabul Mukkadas (MBCL)

12. সেই সময় মাবুদের ফেরেশতা গিদিয়োনকে দেখা দিয়ে বললেন, “হে শক্তিশালী যোদ্ধা, মাবুদ তোমার সংগে আছেন।”

13. জবাবে গিদিয়োন বললেন, “কিন্তু হে আমার প্রভু, যদি মাবুদ আমাদের সংগে থাকেন তবে এই সব আমাদের উপর ঘটল কেন? কোথায় গেল তাঁর সেই সব কুদরতি যার কথা বলতে গিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদের বলতেন যে, মাবুদই মিসর দেশ থেকে তাঁদের বের করে এনেছেন? কিন্তু তিনি তো এখন আমাদের ত্যাগ করেছেন এবং মাদিয়ানীয়দের হাতে তুলে দিয়েছেন।”

14. মাবুদ তাঁর দিকে ফিরে বললেন, “তোমার এই শক্তিতেই তুমি যাও এবং মাদিয়ানীয়দের হাত থেকে বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার কর, কারণ আমিই তোমাকে পাঠাচ্ছি।”

15. গিদিয়োন বললেন, “কিন্তু হে আমার প্রভু, আমি কেমন করে বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করব? মানশা-গোষ্ঠীর মধ্যে আমাদের বংশটাই সবচেয়ে নীচু, আর আমাদের পরিবারের মধ্যে আমার কোন দাম নেই।”

16. জবাবে মাবুদ বললেন, “আমি তোমার সংগে থাকব, আর তাতে তুমি সমস্ত মাদিয়ানীয়দের একটা লোকের মত করে হারিয়ে দেবে।”

17. গিদিয়োন বললেন, “যদি আমি আপনার দয়া পেয়ে থাকি, তবে আমি যাতে বুঝতে পারি যে, সত্যিই আপনি আমার সংগে কথা বলছেন তার একটা চিহ্ন আপনি আমাকে দেখান।

18. আমি ফিরে এসে আপনার সামনে আমার দান না রাখা পর্যন্ত আপনি চলে যাবেন না।”তিনি বললেন, “তুমি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব।”

19. গিদিয়োন ভিতরে গিয়ে একটা ছাগলের বাচ্চা জবাই করে রান্না করলেন এবং আঠারো কেজি পরিমাণ ময়দা দিয়ে কিছু খামিহীন রুটি তৈরী করলেন। তিনি গোশ্‌ত একটা ডালাতে রেখে ঝোল একটা পাত্রে রাখলেন। তারপর সেগুলো বাইরে এনে এলোন গাছের তলায় মাবুদের ফেরেশতার সামনে রাখলেন।

20. তখন আল্লাহ্‌র ফেরেশতা তাঁকে বললেন, “গোশ্‌ত আর খামিহীন রুটি নিয়ে তুমি এই পাথরটার উপরে রাখ, আর ঝোল ঢেলে দাও।” গিদিয়োন তা-ই করলেন।

21. তখন মাবুদের ফেরেশতার হাতে যে লাঠিটা ছিল সেটার আগা দিয়ে তিনি ঐ গোশ্‌ত আর খামিহীন রুটি ছুঁলেন। তাতে পাথরটা থেকে আগুন উঠে সেই গোশ্‌ত ও রুটি পুড়িয়ে দিল, আর মাবুদের ফেরেশতা অদৃশ্য হয়ে গেলেন।

22. গিদিয়োন যখন বুঝতে পারলেন যে, উনি ছিলেন মাবুদের ফেরেশতা তখন তিনি বললেন, “হায় হায়, হে আল্লাহ্‌ মালিক, আমি যে মাবুদের ফেরেশতাকে মুখোমুখি দেখলাম!”

23. কিন্তু মাবুদ তাঁকে বললেন, “তোমার শান্তি হোক, তুমি ভয় কোরো না। তুমি মারা যাবে না।”

24. তখন গিদিয়োন সেখানে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী করে তার নাম দিলেন ইয়াহ্‌ওয়েহ্‌-শালোম (যার মানে “মাবুদই শান্তি”)। কোরবানগাহ্‌টি এখনও অবীয়েষ্রীয়দের অফ্রাতে আছে।

25. সেই রাতেই মাবুদ গিদিয়োনকে বললেন, “তোমার বাবার গরুর পাল থেকে তুমি দ্বিতীয় ষাঁড়টা নাও যেটার বয়স সাত বছর। তারপর বাল-দেবতার উদ্দেশে যে কোরবানগাহ্‌টি তোমার বাবা কেল্লার মত জায়গাটার উপরে তৈরী করেছেন সেটা ভেংগে ফেল এবং তার পাশে যে আশেরা-খুঁটি আছে তা কেটে ফেল।

26. তারপর সেই জায়গার উপরে তোমার মাবুদ আল্লাহ্‌র উদ্দেশে ভাল করে একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী কর। তারপর সেই দ্বিতীয় ষাঁড়টা দিয়ে তোমার কেটে ফেলা ঐ আশেরা-খুঁটির কাঠ জ্বালিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দাও।”

27. সেইজন্য গিদিয়োন তাঁর চাকরদের মধ্য থেকে দশজনকে সংগে নিয়ে মাবুদের কথামত কাজ করলেন। কিন্তু নিজের পরিবার ও গ্রামের লোকদের ভয়ে তিনি কাজটা দিনে না করে রাতের বেলায় করলেন।

28. সকালবেলায় গ্রামের লোকেরা ঘুম থেকে উঠে দেখল বাল-দেবতার কোরবানগাহ্‌টি ভেংগে ফেলা হয়েছে আর তার পাশের আশেরা-খুঁটিটাও কেটে ফেলা হয়েছে এবং একটা নতুন করে তৈরী করা কোরবানগাহের উপরে দ্বিতীয় ষাঁড়টা কোরবানী দেওয়া হয়েছে।

29. তখন তারা একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করল, “এই কাজ কে করেছে?” তারা ভাল করে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারল যে, যোয়াশের ছেলে গিদিয়োন এই সব করেছে।

30. তখন তারা যোয়াশের কাছে গিয়ে বলল, “তোমার ছেলেকে বের করে নিয়ে এস। তাকে মরতে হবে, কারণ সে বাল-দেবতার কোরবানগাহ্‌ ভেংগে ফেলেছে এবং তার পাশের আশেরা-খুঁটিটা কেটে ফেলেছে।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন কাজীগণ 6