12. সেই যোদ্ধারা যাবেশ-গিলিয়দের বাসিন্দাদের মধ্যে চারশো যুবতী অবিবাহিতা মেয়ে পেল; তারা সেই মেয়েদের কেনান দেশের শীলোর ছাউনিতে নিয়ে গেল।
13. এর পর সেই জমায়েত হওয়া বনি-ইসরাইলরা রিম্মোণ পাহাড়ে লোক পাঠিয়ে বিন্ইয়ামীনীয়দের সংগে কথা বলল এবং শান্তি ঘোষণা করল।
14. এতে বিন্ইয়ামীনীয়রা ফিরে আসল। যাবেশ-গিলিয়দের বাঁচিয়ে রাখা মেয়েদের সংগে তাদের বিয়ে দেওয়া হল, কিন্তু মেয়েরা সংখ্যায় কম পড়ে গেল।
15. লোকেরা বিন্যামীন-গোষ্ঠীর জন্য দুঃখ করতে লাগল, কারণ মাবুদ ইসরাইলীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
16. তাদের বৃদ্ধ নেতারা বললেন, “বিন্ইয়ামীনীয় স্ত্রীলোকদের ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখন যে পুরুষেরা বেঁচে রয়েছে তাদের বিয়ের জন্য আমরা কোথায় মেয়ে পাব?
17. বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে যাতে একটা গোষ্ঠী মুছে না যায় সেইজন্য বেঁচে থাকা বিন্ইয়ামীনীয়দের বংশ রক্ষা করতে হবে।
18. আমাদের মেয়েদের তো তাদের সংগে বিয়ে দিতে পারি না, কারণ আমরা কসম খেয়ে বলেছি যে, কেউ যদি কোন বিন্ইয়ামীনীয়কে মেয়ে দেয় তবে তাকে বদদোয়া দেওয়া হবে।”
19. তারপর তারা বলল, “প্রতি বছর শীলোতে মাবুদের উদ্দেশে একটা ঈদ হয়।” শীলো শহরটা রয়েছে বেথেলের উত্তর দিকের যে রাস্তাটা বেথেল থেকে শিখিমের দিকে গেছে তার পূর্ব দিকে এবং লবোনার দক্ষিণে।
20. তারা বিন্ইয়ামীনীয়দের এই পরামর্শ দিল, “তোমরা গিয়ে শীলোর আংগুর ক্ষেতে লুকিয়ে থাক এবং নজর রাখ।
21. যখন সেখানকার মেয়েরা নাচে যোগ দেবার জন্য বেরিয়ে আসবে তখন তোমরা প্রত্যেকে আংগুর ক্ষেত থেকে ছুটে বেরিয়ে গিয়ে তাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে নিয়ে বিন্ইয়ামীন এলাকায় চলে যাবে।
22. যখন তাদের বাবা কিংবা ভাইয়েরা আমাদের কাছে নালিশ করতে আসবে তখন আমরা তাদের বলব, ‘তোমরা এই সব মেয়েদের দান করে আমাদের পক্ষে তাদের প্রতি দয়া দেখাও। যুদ্ধের সময়ে আমরা তাদের জন্য যথেষ্ট মেয়ে পাই নি। এই ব্যাপারে তোমাদের কোন দোষ নেই, কারণ তোমরা নিজেরা তো তোমাদের মেয়েদের তাদের দাও নি।’ ”
23. কাজেই বিন্ইয়ামীনীয়রা তা-ই করল। মেয়েরা যখন নাচছিল তখন তারা প্রত্যেকে বিয়ে করবার জন্য একজন করে মেয়ে ধরে নিয়ে গেল। তারপর তারা তাদের নিজেদের জায়গায় ফিরে গিয়ে শহর ও গ্রামগুলোর ঘর-বাড়ী আবার তৈরী করে নিয়ে সেখানে বাস করতে লাগল।
24. এর পর বনি-ইসরাইলরা সেই জায়গা ছেড়ে যে যার গোষ্ঠী এবং বংশের জায়গায় নিজের সম্পত্তিতে চলে গেল।
25. তখনও বনি-ইসরাইলদের মধ্যে কোন বাদশাহ্ ছিল না। যে যা ভাল মনে করত সে তা-ই করত।