10. আমরা তাদের নামও জিজ্ঞাসা করেছি যেন তাদের নেতাদের নাম আপনাকে জানাবার জন্য লিখে রাখতে পারি।
11. জবাবে তারা আমাদের বলল, “আমরা আসমান ও জমীনের আল্লাহ্র গোলাম। আমরা সেই এবাদত-খানাটি আবার তৈরী করছি যেটি ইসরাইলের একজন মহান বাদশাহ্ অনেক দিন আগে তৈরী করে শেষ করেছিলেন।
12. কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষেরা বেহেশতের আল্লাহ্কে রাগিয়েছিলেন বলে তিনি ব্যাবিলনের বাদশাহ্ ক্যালডীয় বখতে-নাসারের হাতে তাঁদের তুলে দিয়েছিলেন। বখতে-নাসার এই এবাদত-খানাটি ধ্বংস করেছিলেন এবং লোকদের বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে গিয়েছিলেন।
13. কিন্তু ব্যাবিলনের বাদশাহ্ কাইরাসের রাজত্বের প্রথম বছরে তিনি আল্লাহ্র এই ঘরটি আবার তৈরী করবার হুকুম দিয়েছিলেন।
14. এমন কি, তিনি ব্যাবিলনের মন্দির থেকে আল্লাহ্র ঘরের সেই সব সোনা ও রূপার পাত্রগুলো বের করে দিয়েছিলেন যা বখতে-নাসার জেরুজালেমের এবাদত-খানা থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাদশাহ্ কাইরাস সেগুলো তাঁর নিযুক্ত শাসনকর্তা শেশ্বসরের হাতে দিয়েছিলেন।
15. বাদশাহ্ তাঁকে বলেছিলেন যে, তিনি যেন জেরুজালেমে আগের জায়গাতেই আল্লাহ্র ঘরটি আবার তৈরী করেন এবং সেই জিনিসগুলো নিয়ে গিয়ে সেখানে জমা রাখেন।
16. কাজেই শেশ্বসর এসে জেরুজালেমে আল্লাহ্র ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত সেটি তৈরীর কাজ চলছে, এখনও শেষ হয় নি।”
17. এখন মহারাজ যদি চান তবে ব্যাবিলনের রাজ-সরকারের নথিপত্র রাখবার জায়গায় খোঁজ করে দেখতে পারেন যে, জেরুজালেমে আল্লাহ্র এই ঘরটি তৈরী করবার হুকুম বাদশাহ্ কাইরাস সত্যিই দিয়েছিলেন কি না। তারপর এই ব্যাপারে মহারাজ যা ঠিক করবেন তা যেন আমাদের জানিয়ে দেন।