12. মহারাজের জানা দরকার যে, আপনার কাছ থেকে যে ইহুদীরা আমাদের কাছে এসেছে তারা জেরুজালেমে গেছে এবং বিদ্রোহী ও খারাপ শহরটা আবার গড়ে তুলছে; তারা এর দেয়াল ও ভিত্তি মেরামত করছে।
13. মহারাজের আরও জানা দরকার যে, যদি ঐ শহর ও দেয়াল আবার গড়ে তোলা হয় তবে ঐ লোকেরা খাজনা, কর্ কিংবা শুল্ক দেবে না। তাতে বাদশাহ্র আয়ের ক্ষতি হবে।
14. আমরা রাজবাড়ীর লবণ খাই তাই বাদশাহ্কে অসম্মানিত হতে দেখা আমাদের উচিত নয়। কাজেই আমরা এই সংবাদ বাদশাহ্র কাছে পাঠাচ্ছি।
15. এতে বাদশাহ্ যেন তাঁর পূর্বপুরুষদের ইতিহাস বইয়ে খুঁজে দেখেন। সেই বইয়ের মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন যে, জেরুজালেম একটা বিদ্রোহী শহর; এই শহর বাদশাহ্দের এবং প্রদেশগুলোর শাসনকর্তাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে আর অনেক কাল আগে থেকেই সেই শহরে বিদ্রোহ হয়ে আসছে। সেইজন্যই সেই শহরকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
16. আমরা বাদশাহ্কে জানাচ্ছি যে, এই শহরটা যদি আবার তৈরী করা হয় আর তার দেয়ালগুলো তোলা হয়, তাহলে ফোরাত নদীর পশ্চিম পারের এলাকাগুলোতে আপনার অধীন বলে আর কিছুই থাকবে না।”
17. বাদশাহ্ তখন সেই চিঠির এই জবাব পাঠিয়ে দিলেন:“শাসনকর্তা রহূম, লেখক শিম্শয় এবং সামেরিয়া ও ফোরাত নদীর পশ্চিম পারের বিভিন্ন এলাকায় বাসকারী অন্যান্য উঁচু পদের কর্মচারীদের কাছে আমি লিখছি।আপনাদের শান্তি হোক।
18. যে চিঠি আপনারা আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন তা আমার কাছে অনুবাদ করে পড়া হয়েছে।
19. আমি হুকুম দিলে পর খোঁজ করা হয়েছে এবং জানা গেছে যে, অনেক কাল আগে থেকে সেই শহর বাদশাহ্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে; আসলে ওটা এমন একটা জায়গা যেখানকার লোকেরা শাসন মানে না।
20. শক্তিশালী বাদশাহ্রা জেরুজালেমে থেকে ফোরাত নদীর পশ্চিম পারের সমস্ত এলাকাগুলোতে রাজত্ব করেছেন এবং সেখানকার লোকেরা তাঁদের খাজনা, কর্ এবং শুল্ক দিয়েছে।
21. এখন আপনারা ঐ সব লোকদের কাজ বন্ধ করবার হুকুম দিন যাতে আমার হুকুম না পাওয়া পর্যন্ত ঐ শহরটা আবার গড়ে তোলা না হয়।