5. কাজেই ওঠো, চল, আমরা রাতেই আক্রমণ করি এবং তার কেল্লাগুলো ধ্বংস করে দিই।’ ”
6. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাদের এই কথা বলছেন, “তোমরা গাছপালা কেটে তা দিয়ে জেরুজালেমের বিরুদ্ধে তার দেয়ালের সংগে ঢিবি তৈরী কর। এই শহরকে শাস্তি দিতে হবে; এটা অত্যাচারে ভরে গেছে।
7. কূয়ার পানি যেমন সব সময় তাজা থাকে তেমনি করে সে তার দুষ্টতা সব সময় চালু রাখে। তার মধ্যে জুলুম ও ধ্বংসের শব্দ শোনা যায়; তার অসুস্থতা ও আঘাত সব সময় আমার সামনে রয়েছে।
8. হে জেরুজালেম, সাবধানবাণী শোন, তা না হলে আমি তোমার কাছ থেকে ফিরে গিয়ে তোমার দেশ ধ্বংস ও জনশূন্য করব।”
9. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, “আংগুর ক্ষেত থেকে যেমন ভাল করে আংগুর ঝেড়ে ফেলা হয় তেমনি শত্রুরা দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের ঝেড়ে ফেলবে। যে লোক আংগুর তোলে সে যেমন আবার ডালে হাত দেয় তারাও বাকী লোকদের প্রতি তেমনি করবে।”
10. আমি কার সংগে কথা বলব ও কাকে সাবধান করব যাতে তারা আমার কথা শোনে? তাদের কান বন্ধ তাই তারা শুনতে পায় না। মাবুদের কালাম তাদের টিট্কারির বিষয় হয়েছে; তারা তাতে কোন আনন্দ পায় না।
11. কিন্তু আমি মাবুদের রাগে পূর্ণ হয়েছি; আমি আর তা আমার ভিতরে ধরে রাখতে পারছি না।মাবুদ জবাবে বলছেন, “তুমি তা রাস্তায় ছেলেমেয়েদের উপরে ও একসংগে জমায়েত হওয়া যুবকদের উপরে ঢেলে দাও। স্বামী ও স্ত্রী তার মধ্যে ধরা পড়বে, আর বুড়োরা ও খুব বুড়োরা রেহাই পাবে না।
12. যারা দেশে বাস করে তাদের বিরুদ্ধে যখন আমি শাস্তির হাত বাড়িয়ে দেব তখন অন্যদের হাতে তাদের বাড়ী-ঘর, জমাজমি ও স্ত্রীদের তুলে দেওয়া হবে।
13. “ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সবাই লাভের জন্য লোভ করে; এমন কি, নবী ও ইমাম সবাই ছলনা করে।
14. তারা আমার বান্দাদের ঘা এমনভাবে বেঁধে দেয় যেন তা বিশেষ কিছু নয়। তারা বলে, ‘শান্তি, শান্তি,’ কিন্তু আসলে শান্তি নেই।
15. তারা কি তাদের সেই জঘন্য কাজের জন্য লজ্জিত? না, তাদের কোন লজ্জা নেই; তারা লজ্জায় লাল হতে জানেই না। সেইজন্য তারা তাদের মধ্যে পড়বে যারা শাস্তি ভোগ করবে। আমি যখন তাদের শাস্তি দেব তখন তাদের নত করা হবে। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।”
16. মাবুদ তাঁর বান্দাদের বলছেন, “তোমরা রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখে পুরানো পথের কথা জিজ্ঞাসা কর; ভাল পথ কোথায় তা জিজ্ঞাসা করে সেই পথে চল। তাতে তোমরা নিজের নিজের দিলে বিশ্রাম পাবে। কিন্তু তোমরা বলেছ, ‘আমরা সেই পথে চলব না।’
17. আমি তোমাদের উপরে পাহারাদার নিযুক্ত করে বলেছি, ‘তোমরা শিংগার আওয়াজ শোন,’ কিন্তু তোমরা বলেছ, ‘আমরা শুনব না।’
18. কাজেই হে অন্যান্য জাতিরা, শোন; আমার বান্দাদের যা হবে তা লক্ষ্য কর।
19. হে দুনিয়া শোন, আমি লোকদের উপর বিপদ ডেকে আনব; তা হবে তাদের পরিকল্পনার ফল, কারণ তারা আমার কথা শোনে নি আর আমার শরীয়তকে অগ্রাহ্য করেছে।
20. হে আমার বান্দারা, সাবা দেশ থেকে যে ধূপ আসে কিংবা দূর দেশ থেকে যে মিষ্টি বচ আসে তাতে আমার কি দরকার? তোমাদের পোড়ানো-কোরবানী আমার গ্রহণযোগ্য নয়; তোমাদের পশু-কোরবানী আমাকে সন্তুষ্ট করে না।”