ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 52:6-25 Kitabul Mukkadas (MBCL)

6. চতুর্থ মাসের নয় দিনের দিন শহরে দুর্ভিক্ষের অবস্থা এত ভীষণ হল যে, লোকদের খাওয়ার জন্য কিছুই ছিল না।

7. পরে শহরের দেয়ালের একটা জায়গা ভেংগে গেল। যদিও ব্যাবিলনীয়রা তখনও শহরটা ঘেরাও করে ছিল তবুও রাতের বেলায় এহুদার সমস্ত সৈন্য বাদশাহ্‌র বাগানের কাছে দুই দেয়ালের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়ে আরবার দিকে গেল।

8. বাদশাহ্‌র সমস্ত সৈন্য তাঁর কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ল এবং সেই সময় ব্যাবিলনীয় সৈন্যদলও বাদশাহ্‌ সিদিকিয়ের পিছনে তাড়া করে জেরিকোর সমভূমিতে তাঁকে ধরে ফেলল।

9. তারা সিদিকিয়কে বন্দী করে হামা দেশের রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র কাছে নিয়ে গেল এবং সেখানে তাঁকে শাস্তির হুকুম দেওয়া হল।

10. ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ রিব্‌লাতে সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলেন এবং এহুদার সমস্ত রাজকর্মচারীদেরও হত্যা করলেন।

11. তারপর তিনি সিদিকিয়ের চোখ দু’টা তুলে ফেলে, তাঁকে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন এবং তিনি না মরা পর্যন্ত তাঁকে জেলখানায় রাখলেন।

12. ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ বখতে-নাসারের রাজত্বের ঊনিশ বছরের পঞ্চম মাসের দশম দিনে বাদশাহ্‌র রক্ষীদলের সেনাপতি হিসাবে যিনি বাদশাহ্‌র সেবা করতেন সেই নবূষরদন জেরুজালেমে আসলেন।

13. তিনি মাবুদের ঘরে, রাজবাড়ীতে এবং জেরুজালেমের সমস্ত বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। সমস্ত প্রধান প্র্রধান বাড়ী তিনি পুড়িয়ে ফেললেন।

14. বাদশাহ্‌র রক্ষীদলের সেনাপতির অধীনে ব্যাবিলনীয় সমস্ত সৈন্যদল জেরুজালেমের দেয়াল ভেংগে ফেলল।

15. যে সব গরীব লোক শহরে পড়ে ছিল তাদের কয়েকজনকে ও বাদবাকী কারিগরদের এবং যারা ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র পক্ষে গিয়েছিল রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন তাদের বন্দী করে নিয়ে গেলেন।

16. কিন্তু আংগুর ক্ষেত দেখাশোনা ও জমি চাষ করবার জন্য কিছু গরীব লোককে তিনি দেশে রেখে গেলেন।

17. ব্যাবিলনীয়রা মাবুদের ঘরের ব্রোঞ্জের দু’টা থাম, গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলো এবং ব্রোঞ্জের বিরাট পাত্রটি ভেংগে টুকরা টুকরা করে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।

18. এছাড়া তারা সব পাত্র, বেল্‌চা, শল্‌তে পরিষ্কার করবার চিম্‌টা, পেয়ালা, হাতা এবং বায়তুল-মোকাদ্দসের এবাদত-কাজের জন্য অন্যান্য সমস্ত ব্রোঞ্জের জিনিস নিয়ে গেল।

19. বাদশাহ্‌র রক্ষীদলের সেনাপতি সোনা বা রূপার তৈরী যে সব পেয়ালা, আগুন রাখবার পাত্র, পেয়ালা, বাতিদান, বেল্‌চা, ঢালন-কোরবানীর পাত্র ও অন্যান্য যে সব পাত্র ছিল তা নিয়ে গেলেন।

20. বাদশাহ্‌ সোলায়মান মাবুদের ঘরের জন্য যে দু’টা থাম, বিরাট পাত্র ও তার নীচেকার বারোটা ব্রোঞ্জের গরু ও যে সব আসন তৈরী করিয়েছিলেন তার সব ব্রোঞ্জ ওজন করা সম্ভব ছিল না।

21. প্রত্যেকটা থাম ছিল আঠারো হাত উঁচু ও তার বেড় ছিল বারো হাত; প্রত্যেকটা থামের ব্রোঞ্জ চার আংগুল পুরু ছিল এবং ভিতরটা ছিল ফাঁপা।

22. একটা থামের মাথা ছিল পাঁচ হাত উঁচু এবং সেই মাথার চারপাশ ব্রোঞ্জের শিকল ও ব্রোঞ্জের ডালিম দিয়ে সাজানো ছিল। অন্য থামটিও একই রকম ছিল।

23. ব্রোঞ্জের শিকলের চারপাশের ডালিমের সংখ্যা ছিল একশো, কিন্তু সামনে থেকে মাত্র ছিয়ানব্বইটা ডালিম দেখা যেত।

24. ইহুদীদের প্রধান ইমাম সরায়, দ্বিতীয় ইমাম সফনিয় ও তিনজন দারোয়ানকে রক্ষীদলের সেনাপতি বন্দী করে নিয়ে গেলেন।

25. যারা তখনও শহরে ছিল তাদের মধ্য থেকে তিনি যোদ্ধাদের উপরে নিযুক্ত একজন কর্মচারী ও বাদশাহ্‌র সাতজন পরামর্শদাতাকে ধরলেন। এছাড়া সেনাপতির লেখক, যিনি সৈন্যদলে লোক ভর্তি করতেন তাঁকে এবং শহরের মধ্যে পাওয়া আরও ষাটজন লোককেও ধরলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইয়ারমিয়া 52