6. তোমরা ব্যাবিলন থেকে পালাও। তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের জীবন রক্ষা কর। তার গুনাহের জন্য তোমরা ধ্বংস হয়ে যেয়ো না। মাবুদের প্রতিশোধ নেবার সময় হয়েছে; তার যা পাওনা তাকে তিনি তা দেবেন।
7. ব্যাবিলন মাবুদের হাতে একটা সোনার পেয়ালার মত ছিল; সে গোটা দুনিয়াকে মাতাল করেছিল। জাতিরা তার আংগুর-রস খেয়েছিল, তাই এখন তারা পাগল হয়ে গেছে।
8. ব্যাবিলন হঠাৎ পড়ে গিয়ে ভেংগে গেছে। তার জন্য বিলাপ কর। তার ব্যথার জন্য মলম আন; হয়তো সে সুস্থ হবে।
9. লোকে বলে, “আমরা ব্যাবিলনকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে সুস্থ হয় নি। চল, আমরা তাকে ছেড়ে যে যার দেশে চলে যাই, কারণ তার শাস্তি আসমান পর্যন্ত পৌঁছেছে, তা মেঘ পর্যন্ত উঁচুতে উঠেছে।”
10. আমরা যে মাবুদের নিজের বান্দা তিনি তা দেখিয়ে দিয়েছেন; আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যা করেছেন এস, আমরা তা সিয়োনে বলি।
11. তোমরা তীরগুলো ধারালো কর, ঢাল নাও। মাবুদ মিডীয় বাদশাহ্দের উত্তেজিত করেছেন, কারণ তাঁর উদ্দেশ্যই হল ব্যাবিলনকে ধ্বংস করা। মাবুদ অবশ্যই তাঁর ঘরের জন্য প্রতিশোধ নেবেন।
12. ব্যাবিলনকে আক্রমণ করবার জন্য একটা নিশান তোল। রক্ষীদলকে আরও শক্তিশালী কর, পাহারা বসাও, গোপন স্থানে সৈন্যদের প্রস্তুত রাখ। মাবুদ ব্যাবিলনের লোকদের বিরুদ্ধে তাঁর উদ্দেশ্য ও হুকুম অনুসারে কাজ করবেন।
13. হে ব্যাবিলন, তুমি তো অনেক পানির ধারে বাস কর এবং অনেক ধন-সম্পদের অধিকারী; তোমার শেষ এসেছে, তোমাকে ছেঁটে ফেলবার সময় উপস্থিত হয়েছে।
14. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের নামেই কসম খেয়ে বলেছেন, “আমি নিশ্চয়ই এক ঝাঁক পংগপালের মত লোকজন দিয়ে তোমাকে পূর্ণ করব, আর তারা তোমার উপরে জয়ের হাঁক দেবে।”
15. মাবুদ নিজের শক্তিতে দুনিয়া তৈরী করেছেন, তাঁর জ্ঞান দ্বারা জমীন স্থাপন করেছেন ও বুদ্ধি দ্বারা আসমান বিছিয়ে দিয়েছেন।
16. তাঁর হুকুমে আসমানের পানি গর্জন করে; তিনি দুনিয়ার শেষ সীমা থেকে মেঘ উঠিয়ে আনেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।
17. সব মানুষই জ্ঞানহীন ও বোকা; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তিগুলোর জন্য লজ্জা পায়। তার ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলো মিথ্যা, সেগুলোর মধ্যে নিঃশ্বাস নেই।