29. দেশ কাঁপছে ও মোচড় খাচ্ছে, কারণ ব্যাবিলনকে জনশূন্য ও পতিত জমি করে রাখবার মাবুদের যে উদ্দেশ্য তা ঠিক রয়েছে।
30. ব্যাবিলনের যোদ্ধারা যুদ্ধ করা থামিয়েছে; তারা তাদের কেল্লার মধ্যে রয়েছে। তাদের শক্তি ফুরিয়ে গেছে; তারা স্ত্রীলোকদের মত দুর্বল হয়ে গেছে। তাদের বাসস্থানগুলোতে আগুন লাগানো হয়েছে; ব্যাবিলনের সব দরজার আগলগুলো ভেংগে ফেলা হয়েছে।
31. সংবাদদাতার পর সংবাদদাতা এবং দূতের পর দূত চলেছে ব্যাবিলনের বাদশাহ্র কাছে ঘোষণা করতে যে, তার গোটা শহরটাই অধিকার করা হয়েছে,
32. তার নদীর হেঁটে পার হওয়ার জায়গাগুলো দখল করা হয়েছে, নলবনে আগুন লাগানো হয়েছে ও সৈন্যেরা ভীষণ ভয় পেয়েছে।”
33. আমি ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছি, “ব্যাবিলন্তকন্যা শস্য মাড়াই করবার সময়কার খামারের মত হয়েছে; ফসল কাটবার মত তাকে কেটে ফেলবার সময় শীঘ্রই আসবে।”
34. জেরুজালেমের লোকেরা বলছে, “ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার আমাদের গ্রাস করেছেন, আমাদের চুরমার করেছেন, আমাদের খালি কলসীর মত করেছেন। দানবের মত তিনি আমাদের গিলে ফেলেছেন এবং আমাদের ভাল ভাল খাবার দিয়ে তাঁর পেট ভরেছেন, আর তার পরে আমাদের এঁটোকাঁটার মত দূর করে দিয়েছেন।”
35. সিয়োনের বাসিন্দারা বলছে, “আমাদের শরীরের উপর যে জুলুম করা হয়েছে তা ব্যাবিলনের উপর করা হোক। যারা ব্যাবিলনে বাস করে আমাদের রক্তের জন্য তারা দায়ী থাকুক।”
36. সেইজন্য মাবুদ বলছেন, “হে জেরুজালেম, আমি তোমার পক্ষ হব এবং তোমার হয়ে প্রতিশোধ নেব; আমি তার সাগর শুকিয়ে ফেলব এবং সব ঝর্ণা শুকনা করব।
37. ব্যাবিলন হবে একটা ধ্বংসের ঢিবি, শিয়ালদের বাসস্থান এবং ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র। সেখানে কেউ বাস করবে না; তার অবস্থা দেখে লোকেরা হতভম্ব হবে।
38. তার লোকেরা সবাই সিংহের মত গর্জন করবে, সিংহের বাচ্চাদের মত গোঁ গোঁ করবে।
39. তারা উত্তেজিত হলে পর আমি তাদের জন্য একটা মেজবানীর ব্যবস্থা করব। আমি তাদের মাতাল করব যেন তারা আনন্দে মেতে ওঠে, তারপর চিরকালের জন্য ঘুমায়, কখনও না জাগে।
40. বাচ্চা-ভেড়াগুলোর মত করে, ভেড়া ও ছাগলের মত করে আমি তাদের জবাই করবার জায়গায় নিয়ে যাব।
41. “শেশককে, অর্থাৎ ব্যাবিলনকে কেমন বেদখল করা হবে! গোটা দুনিয়ার প্রশংসার পাত্রকে কেমন অধিকার করা হবে! ব্যাবিলনকে দেখে জাতিরা হতভম্ব হবে।
42. ব্যাবিলনের উপরে সমুদ্র উঠে আসবে, তার গর্জন্তকরা ঢেউ তাকে ঢেকে ফেলবে।