17. তারা তোমাদের ফসল ও খাবার গ্রাস করবে, গ্রাস করবে তোমাদের ছেলেমেয়েদের; তারা তোমাদের গরু-ভেড়ার পাল গ্রাস করবে, গ্রাস করবে তোমাদের সব আংগুর ও ডুমুর গাছ। যে দেয়াল-ঘেরা শহরের উপর তোমরা ভরসা করছ তা তারা যুদ্ধ করে ধ্বংস করে দেবে।”
18. মাবুদ বলছেন, “তবুও সেই দিনগুলোতে আমি সম্পূর্ণভাবে তোমাকে ধ্বংস করব না।
19. যখন লোকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ আমাদের প্রতি এই সব কেন করলেন?’ তখন তুমি তাদের বলবে, ‘যেমন তোমরা আমাকে ত্যাগ করে তোমাদের দেশে দেব-দেবীর এবাদত করেছ তেমনি যে দেশ তোমাদের নিজেদের নয় সেই দেশে গিয়ে এখন তোমরা বিদেশীদের সেবা করবে।’ ”
20. মাবুদ ইয়াকুবের বংশকে এই কথা বলতে এবং এহুদার কাছে এই কথা ঘোষণা করতে বললেন,
21. “হে বোকা ও বুদ্ধিহীন লোকেরা, তোমরা যারা চোখ থাকতেও দেখতে পাও না, কান থাকতেও শুনতে পাও না, তোমরা শোন।
22. তোমরা কি আমাকে ভয় করবে না? আমার সামনে কি তোমরা কাঁপবে না? আমিই একটা চিরস্থায়ী বাধা হিসাবে বালু দিয়ে সমুদ্রের সীমা ঠিক করেছি, যাতে সমুদ্র তা পার হতে না পারে। তার ঢেউগুলো গড়িয়ে আসলেও তা সফল হতে পারে না; তা গর্জন করলেও পার হয়ে যেতে পারে না।
23. কিন্তু এই লোকদের দিল একগুঁয়ে ও বিদ্রোহী। তারা বিপথে চলে গেছে।
24. তারা মনে মনেও বলে না, ‘এস, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে আমরা ভয় করে চলি, যিনি সময়মত শরৎ ও বসন্তকালে বৃষ্টি দেন, যিনি আমাদের জন্য ফসল কাটবার নিয়মিত সময় রক্ষা করেন।’
25. তোমাদের অন্যায় কাজের দরুন এই সব দূরে রাখা হয়েছে; তোমাদের গুনাহের দরুন তোমাদের উন্নতি হয় না।
26. “আমার বান্দাদের মধ্যে এমন দুষ্ট লোক আছে যারা পাখী শিকারীদের মত ওৎ পেতে থাকে; তারা ফাঁদ পেতে মানুষ ধরে।
27. খাঁচা যেমন পাখীতে ভরা তাদের বাড়ীও তেমনি ছলনায় ভরা। তারা ধনী ও শক্তিশালী হয়েছে,
28. তারা মোটা ও তেল্তেলে হয়েছে। তাদের খারাপ কাজের সীমা নেই; এতিমেরা যাতে ন্যায়বিচার পায় সেইজন্য তারা তাদের পক্ষে দাঁড়ায় না এবং তারা গরীবদের অধিকারও রক্ষা করে না।