11. ইসরাইল ও এহুদার লোকেরা আমার প্রতি ভীষণ বেঈমানী করেছে। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।”
12. তারা মাবুদের বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছে। তারা বলেছে, “তিনি কিছুই করবেন না। আমাদের কোন ক্ষতি হবে না; আমরা কখনও যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ দেখব না।
13. নবীরা বাতাসের মত; তাদের মধ্যে আল্লাহ্র কালাম নেই। কাজেই তারা যা বলে তা তাদের প্রতিই করা হবে।”
14. কাজেই মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এই কথা বলছেন, “লোকেরা এই কথা বলেছে বলে তোমার মুখে আমার কথাগুলো আগুনের মত করব আর এই লোকদের করব কাঠের মত; সেই আগুন তা পুড়িয়ে দেবে।”
15. মাবুদ বলছেন, “হে বনি-ইসরাইলরা, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে দূর থেকে এক জাতিকে নিয়ে আসব। সে একটা পুরানো ও টিকে থাকা জাতি; সেই লোকদের ভাষা তোমরা জানবে না ও তাদের কথা তোমরা বুঝবে না।
16. তারা সাংঘাতিকভাবে তীর ছোঁড়ে; তারা সবাই শক্তিশালী যোদ্ধা।
17. তারা তোমাদের ফসল ও খাবার গ্রাস করবে, গ্রাস করবে তোমাদের ছেলেমেয়েদের; তারা তোমাদের গরু-ভেড়ার পাল গ্রাস করবে, গ্রাস করবে তোমাদের সব আংগুর ও ডুমুর গাছ। যে দেয়াল-ঘেরা শহরের উপর তোমরা ভরসা করছ তা তারা যুদ্ধ করে ধ্বংস করে দেবে।”
18. মাবুদ বলছেন, “তবুও সেই দিনগুলোতে আমি সম্পূর্ণভাবে তোমাকে ধ্বংস করব না।
19. যখন লোকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ আমাদের প্রতি এই সব কেন করলেন?’ তখন তুমি তাদের বলবে, ‘যেমন তোমরা আমাকে ত্যাগ করে তোমাদের দেশে দেব-দেবীর এবাদত করেছ তেমনি যে দেশ তোমাদের নিজেদের নয় সেই দেশে গিয়ে এখন তোমরা বিদেশীদের সেবা করবে।’ ”
20. মাবুদ ইয়াকুবের বংশকে এই কথা বলতে এবং এহুদার কাছে এই কথা ঘোষণা করতে বললেন,
21. “হে বোকা ও বুদ্ধিহীন লোকেরা, তোমরা যারা চোখ থাকতেও দেখতে পাও না, কান থাকতেও শুনতে পাও না, তোমরা শোন।
22. তোমরা কি আমাকে ভয় করবে না? আমার সামনে কি তোমরা কাঁপবে না? আমিই একটা চিরস্থায়ী বাধা হিসাবে বালু দিয়ে সমুদ্রের সীমা ঠিক করেছি, যাতে সমুদ্র তা পার হতে না পারে। তার ঢেউগুলো গড়িয়ে আসলেও তা সফল হতে পারে না; তা গর্জন করলেও পার হয়ে যেতে পারে না।
23. কিন্তু এই লোকদের দিল একগুঁয়ে ও বিদ্রোহী। তারা বিপথে চলে গেছে।
24. তারা মনে মনেও বলে না, ‘এস, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে আমরা ভয় করে চলি, যিনি সময়মত শরৎ ও বসন্তকালে বৃষ্টি দেন, যিনি আমাদের জন্য ফসল কাটবার নিয়মিত সময় রক্ষা করেন।’
25. তোমাদের অন্যায় কাজের দরুন এই সব দূরে রাখা হয়েছে; তোমাদের গুনাহের দরুন তোমাদের উন্নতি হয় না।