17. “ইদোমের অবস্থা দেখে লোকেরা হতভম্ব হবে; যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই ভীষণ ভয় পাবে এবং তার সব আঘাতের জন্য তাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে।
18. আমি মাবুদ বলছি, আশেপাশের গ্রাম সুদ্ধ যেমন সাদুম ও আমুরাকে ধ্বংস করা হয়েছিল তেমনি ইদোমে কেউ বাস করবে না; তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।
19. “জর্ডানের জংগল থেকে সিংহ যেমন উঠে এসে ভাল চারণ ভূমিতে শিকার করতে যায় তেমনি করে আমি মুহূর্তের মধ্যে ইদোমকে তার দেশ থেকে তাড়া করব। আমি তার উপর আমার বাছাই করা বান্দাকে নিযুক্ত করব। কে আমার সমান? কে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে? কোন্ পালক আমার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে?”
20. কাজেই ইদোমের বিরুদ্ধে মাবুদ কি পরিকল্পনা করেছেন, তৈমনের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে তিনি কি ঠিক করেছেন তা শোন্তপালের বাচ্চাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে; তাদের কাজের দরুনই তাদের চারণ ভূমি তিনি একেবারে ধ্বংস করে দেবেন।
21. তাদের পতনের শব্দে দুনিয়া কাঁপবে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত শোনা যাবে।
22. দেখ, তাদের শত্রু ঈগলের মত করে উঁচুতে উড়বে আর বস্রার উপরে ডানা মেলে দিয়ে শোঁ করে নীচে নেমে আসবে। সেই দিন ইদোমের যোদ্ধাদের অন্তর প্রসব-যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
23. দামেস্কের বিষয়ে মাবুদ বলছেন, “হামা আর অর্পদ ভয়ে ব্যাকুল হয়েছে, কারণ তারা খারাপ খবর শুনেছে। তারা হতাশ হয়েছে, অস্থির সাগরের মত অশান্ত হয়েছে।
24. দামেস্ক দুর্বল হয়েছে, সে পালাবার জন্য ফিরেছে এবং ভয় তাকে আঁকড়ে ধরেছে; প্রসব-যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের মত যন্ত্রণা ও ব্যথা তাকে ধরেছে।
25. সেই বিখ্যাত শহর, যে শহরকে নিয়ে আমি খুশী হতাম, কেন লোকেরা তা ত্যাগ করে চলে যায় নি?
26. আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছি যে, তার যুবকেরা নিশ্চয়ই শহরের খোলা জায়গায় মরে পড়ে থাকবে; সেই দিন তার সব সৈন্যদের শেষ করে দেওয়া হবে।
27. দামেস্কের দেয়ালগুলোতে আমি আগুন লাগিয়ে দেব; তা বিন্হদদের কেল্লাগুলো পুড়িয়ে ফেলবে।”
28. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার কায়দার ও হাৎসোরের যে রাজ্যগুলোকে হারিয়ে দিয়েছিলেন সেগুলোর বিষয়ে মাবুদ বলছেন, “ওঠো, কায়দার আক্রমণ কর এবং পূর্বদেশের লোকদের ধ্বংস কর।
29. লোকে তাদের সব তাম্বু ও পশুপাল নিয়ে যাবে আর তাদের সমস্ত জিনিস, তাম্বুর পর্দা ও উট নিয়ে যাবে। তারা চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকেই ভীষণ ভয়!’ ”
30. মাবুদ বলছেন, “হে হাৎসোরের বাসিন্দারা, তোমরা তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাও। তোমরা গোপন স্থানে গিয়ে থাক। ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তোমাদের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পনা করেছে।
31. হে ব্যাবিলনীয়রা, তোমরা ওঠো, সেই আরামে থাকা জাতি যে নিরাপদে বাস করে তাকে আক্রমণ কর। সেই জাতির দরজাও নেই, আগলও নেই; তারা একা বাস করে।
32. তাদের উটগুলো লুটের মাল হবে এবং তাদের মস্ত বড় পশুপাল লুটের জিনিস হবে। যারা মাথার দু’পাশের চুল কাটে তাদের আমি চারদিকে ছড়িয়ে দেব এবং সব দিক থেকেই তাদের উপর বিপদ আনব।
33. হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান ও চিরস্থায়ী জনশূন্য জায়গা। কেউ সেখানে বাস করবে না, তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।”