9. ওহে সমস্ত ঘোড়া, তোমরা আক্রমণ কর। ওহে রথচালকেরা, তোমরা পাগলের মত রথ চালাও। হে যোদ্ধারা, ঢাল-বহনকারী ইথিওপিয়া ও পুটের লোকেরা, ধনুকধারী লিডীয়রা, তোমরা এগিয়ে যাও।
10. কিন্তু সেই দিনটা হল দীন-দুনিয়ার মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের দিন। সেই দিন হল তাঁর শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নেবার দিন। তলোয়ার তৃপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, তার রক্তের পিপাসা না মেটা পর্যন্ত গ্রাস করতে থাকবে; কারণ উত্তর দিকের দেশে, ফোরাত নদীর ধারে দীন-দুনিয়ার মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন কোরবানী দেবেন।
11. “হে মিসর, তুমি গিলিয়দে উঠে গিয়ে ব্যথার মলম আন। কিন্তু মিথ্যাই তুমি ওষুধের সংখ্যা বাড়া"ছ; তোমার ভাল হবার কোন আশা নেই।
12. জাতিরা তোমার লজ্জার বিষয় শুনবে; তোমার কান্নায় দুনিয়া পূর্ণ হবে। এক যোদ্ধা অন্য আর একজনের উপর উচোট খেয়ে দু’জনেই একসংগে পড়ে যাবে।”
13. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার যে মিসর আক্রমণ করতে আসবেন সেই খবর মাবুদ নবী ইয়ারমিয়াকে বলেছিলেন।
14. সেই খবর হল, “তোমরা মিসরে প্রচার কর, মিগ্দোলে ঘোষণা কর, মেম্ফিস ও তফন্হেষে ঘোষণা করে বল, ‘তোমরা জায়গা নিয়ে দাঁড়াও ও প্রস্তুত হও, কারণ তলোয়ার তোমাদের চারপাশে গ্রাস করবে।’
15. তোমাদের যোদ্ধারা কেন হেরে যাবে? তারা দাঁড়াতে পারবে না, কারণ মাবুদই তাদের ঠেলে নীচে ফেলবেন।
16. তারা বার বার উচোট খাবে; তারা একে অন্যের উপর পড়বে। তারা বলবে, ‘ওঠো, চল আমরা অত্যাচারীর তলোয়ার থেকে দূরে গিয়ে আমাদের নিজেদের লোকদের কাছে ও নিজেদের দেশে ফিরে যাই।’
17. সেখানকার লোকেরা বলে, ‘মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন একটা জোরে বাজানো ঘণ্টা মাত্র; সে তার সুযোগ হারিয়েছে।’ ”
18. যাঁর নাম আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন সেই বাদশাহ্ ঘোষণা করছেন, “আমার জীবনের কসম যে, এমন একজন আসবেন যিনি পাহাড়গুলোর মধ্যে তাবোরের মত, সমুদ্রের কাছের কর্মিলের মত।