4-5. গদলিয় খুন হবার পরের দিন কেউ সেই কথা জানবার আগেই শিখিম, শীলো ও সামেরিয়া থেকে আশিজন লোক তাদের দাড়ি কামিয়ে, কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ও নিজেদের শরীর কাটাকুটি করে শস্য-কোরবানী করবার জিনিস ও ধূপ নিয়ে মাবুদের ঘরে যাচ্ছিল।
6. ইসমাইল তাদের সংগে দেখা করবার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মিসপা থেকে বের হল। সেই লোকদের সংগে দেখা হলে পর সে বলল, “অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে চল।”
7. তারা শহরে ঢোকামাত্র ইসমাইল ও তার সংগের লোকেরা সেই লোকদের হত্যা করে একটা কূয়ার মধ্যে ফেলে দিল।
8. কিন্তু তাদের মধ্য থেকে দশজন ইসমাইলকে বলল, “আমাদের মারবেন না। মাঠের মধ্যে আমাদের গম, যব, তেল ও মধু লুকানো রয়েছে।” সেইজন্য ইসমাইল তাদের ছেড়ে দিল, অন্যদের সংগে হত্যা করল না।
9. গদলিয় ও অন্যদের হত্যা করে যে কূয়ার মধ্যে সে তাদের সকলের লাশ ফেলে দিয়েছিল সেটা ইসরাইলের বাদশাহ্ বাশার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য বাদশাহ্ আসা তৈরী করিয়েছিলেন। ইসমাইল সেটা লাশ দিয়ে ভরে ফেলল।
10. ইসমাইল মিসপার বাকী সব লোকদের বন্দী করল। তাদের মধ্যে ছিল বাদশাহ্র মেয়েরা ও সেখানে রেখে যাওয়া অন্য সব লোকেরা। বাদশাহ্র রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন এই সব লোকদের উপরে গদলিয়কে নিযুক্ত করেছিলেন। ইসমাইল তাদের বন্দী করে নিয়ে অম্মোনীয়দের কাছে পার হয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হল।
11. কারেহের ছেলে যোহানন ও তার সংগের সৈন্যদলের সব সেনাপতিরা যখন ইসমাইলের সব অন্যায় কাজের কথা শুনতে পেল,
12. তখন তারা তাদের সব লোকদের নিয়ে তার সংগে যুদ্ধ করতে গেল। গিবিয়োনের বড় পুকুরের কাছে তারা তার নাগাল পেল।
13-14. ইসমাইল মিসপা থেকে যে সব লোকদের বন্দী করে নিয়ে যাচ্ছিল তারা যোহানন ও তার সংগের সৈন্যদলের সেনাপতিদের দেখে খুশী হল এবং ফিরে যোহাননের কাছে গেল।
15. কিন্তু ইসমাইল ও তার আটজন লোক যোহাননের কাছ থেকে পালিয়ে অম্মোনীয়দের কাছে গেল।
16. তারপর যোহানন ও তার সংগের সৈন্যদলের সব সেনাপতিরা গিবিয়োন থেকে মিসপার বাদবাকী সব লোকদের ফিরিয়ে আনল। ইসমাইল গদলিয়কে খুন করবার পর যোহানন তার হাত থেকে এই সব সৈন্যদের, স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের এবং রাজকর্মচারীদের উদ্ধার করেছিল।
17. তারা মিসরে যাবার পথে বেথেলহেমের কাছে গেরুৎ কিম্হমে কিছু দিনের জন্য রইল।
18. তারা ব্যাবিলনীয়দের ভয়ে এহুদা থেকে পালাচ্ছিল, কারণ ইসমাইল ব্যাবিলনের বাদশাহ্র নিযুক্ত শাসনকর্তা গদলিয়কে হত্যা করেছিল।