ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 37:11-12-20 Kitabul Mukkadas (MBCL)

11-12. ফেরাউনের সৈন্যদলের দরুন ব্যাবিলনীয় সৈন্যদল জেরুজালেম ছেড়ে চলে গেলে পর ইয়ারমিয়া বিন্‌ইয়ামীন এলাকার মধ্যে তাঁর সম্পত্তির দখল নেবার জন্য জেরুজালেম ছেড়ে রওনা হলেন।

13. কিন্তু যখন তিনি বিন্‌ইয়ামীন্তদরজায় পৌঁছালেন তখন যিরিয় নামে পাহারাদারদের সেনাপতি তাঁকে ধরে বলল, “তুমি ব্যাবিলনীয়দের পক্ষে যাচ্ছ।” এই যিরিয় ছিল শেলিমিয়ার ছেলে, শেলিমিয়া হনানিয়ের ছেলে।

14. ইয়ারমিয়া বললেন, “এটা মিথ্যা কথা, আমি ব্যাবিলনীয়দের পক্ষে যাচ্ছি না।” কিন্তু যিরিয় তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ধরে রাজকর্মচারীদের সামনে নিয়ে গেল।

15. সেই রাজকর্মচারীরা ইয়ারমিয়ার উপর রাগ করে তাঁকে মারধর করলেন এবং লেখক যোনাথনের বাড়ীতে তাঁকে বন্দী করে রাখলেন; সেটাকেই তাঁরা জেলখানা বানিয়েছিলেন।

16. সেই জেলখানার মাটির নীচের একটা কামরায় ইয়ারমিয়াকে রাখা হল। সেখানে তিনি অনেক দিন রইলেন।

17. তারপর বাদশাহ্‌ সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে তাঁকে রাজবাড়ীতে ডেকে আনিয়ে গোপনে জিজ্ঞাসা করলেন, “মাবুদের কোন কালাম আছে কি?”জবাবে ইয়ারমিয়া বললেন, “জ্বী, আছে। আপনাকে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

18. তারপর ইয়ারমিয়া বাদশাহ্‌ সিদিকিয়কে বললেন, “আমি আপনার কিংবা আপনার কর্মচারীদের কিংবা এই লোকদের বিরুদ্ধে কি দোষ করেছি যে, আপনারা আমাকে জেলখানায় রেখেছেন?

19. যারা আপনাদের কাছে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌ আপনাকে বা এই দেশকে আক্রমণ করবে না, আপনাদের সেই নবীরা কোথায়?

20. কিন্তু এখন হে আমার প্রভু মহারাজ, দয়া করে শুনুন। আপনার সামনে আমি আমার এই অনুরোধ রাখছি, আপনি আমাকে লেখক যোনাথনের বাড়ীতে আর পাঠাবেন না, পাঠালে আমি সেখানে মরে যাব।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইয়ারমিয়া 37