17. তারপর তাঁরা বারূককে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমাদের বলুন আপনি কেমন করে এই সব কথা লিখলেন? ইয়ারমিয়ার মুখ থেকে শুনে কি আপনি লিখেছেন?”
18. জবাবে বারূক বললেন, “জ্বী, তিনি আমাকে এই সব কথা বলেছেন আর আমি তা এই কিতাবে কালি দিয়ে লিখেছি।”
19. তখন রাজকর্মচারীরা বারূককে বললেন, “আপনি ও ইয়ারমিয়া গিয়ে লুকিয়ে থাকুন। আপনারা কোথায় আছেন তা যেন কেউ জানতে না পারে।”
20. পরে রাজকর্মচারীরা সেই কিতাবটা লেখক ইলীশামার কামরায় রেখে রাজদরবারে বাদশাহ্র কাছে গেলেন এবং তাঁকে সব কথা জানালেন।
21. তখন বাদশাহ্ সেই কিতাবটা আনবার জন্য যেহুদীকে পাঠালেন। লেখক ইলীশামার কামরা থেকে যেহুদী কিতাবটা এনে বাদশাহ্ ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো সব রাজকর্মচারীদের সামনে পড়ে শোনালেন।
22. তখন ছিল বছরের নবম মাস। বাদশাহ্ তাঁর শীতকাল কাটাবার ঘরে বসে ছিলেন এবং তাঁর সামনে আগুনের পাত্রে আগুন জ্বলছিল।
23. যেহুদী সেই কিতাবের কিছুটা তেলাওয়াত করলে পর বাদশাহ্ লেখকের ছুরি দিয়ে সেই অংশটা কেটে নিয়ে আগুনের পাত্রে ফেলে দিলেন; এইভাবে গোটা কিতাবটা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হল।
24. বাদশাহ্ ও তাঁর যে সব লোকেরা সেই কথা শুনলেন তাঁরা ভয়ও পেলেন না কিংবা তাঁদের কাপড়ও ছিঁড়লেন না।
25. ইল্নাথন, দলায় ও গমরিয় বাদশাহ্কে সেই কিতাব না পোড়াতে মিনতি করলেও বাদশাহ্ তাঁদের কথা শুনলেন না।