1-2. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার, তাঁর সব সৈন্যদল এবং তাঁর অধীন সমস্ত রাজ্য ও জাতির লোকেরা যখন জেরুজালেম ও তার আশেপাশের শহরগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল তখন ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ ইয়ারমিয়াকে বললেন যেন তিনি এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়ের কাছে গিয়ে বলেন, “আমি মাবুদ এই কথা বলছি যে, আমি এই শহর ব্যাবিলনের বাদশাহ্র হাতে তুলে দিতে যাচ্ছি আর সে এটা পুড়িয়ে দেবে।
3. তুমি তার হাত থেকে রেহাই পাবে না; তোমাকে নিশ্চয়ই ধরে তার হাতে দেওয়া হবে। তুমি নিজের চোখে ব্যাবিলনের বাদশাহ্কে দেখতে পাবে; সে তোমার মুখোমুখি হয়ে তোমার সংগে কথা বলবে, আর তুমি ব্যাবিলনে যাবে।
4. “হে এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়, তবুও তুমি আমার কথা শোন। তোমার সম্বন্ধে আমি বলছি, তুমি তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে না;
5. তুমি শান্তিতে মারা যাবে। তোমার পূর্বপুরুষ, অর্থাৎ তোমার আগে যে সব বাদশাহ্রা ছিল তাদের সম্মান দেখাবার জন্য যেমন আগুন জ্বালানো হয়েছিল লোকে তোমার সম্মানের জন্যও তেমনি আগুন জ্বালাবে এবং ‘হায় মালিক!’ বলে দুঃখ প্রকাশ করবে। আমি মাবুদ নিজেই এই কথা বলছি।”
6. তখন নবী ইয়ারমিয়া জেরুজালেমে এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়কে সেই সব কথা বললেন।
7. সেই সময় ব্যাবিলনের বাদশাহ্র সৈন্যেরা জেরুজালেম, লাখীশ ও অসেকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল, কারণ এহুদা দেশের মধ্যে কেবল এই দেয়াল-ঘেরা শহরগুলোই অধিকার করে নিতে তাদের বাকী ছিল।
8. পরে মাবুদ আবার ইয়ারমিয়ার সংগে কথা বললেন। এর আগে বাদশাহ্ সিদিকিয় জেরুজালেমের সমস্ত লোকদের সংগে গোলামদের মুক্তি ঘোষণার বিষয় নিয়ে নিয়ম স্থির করেছিলেন।
9. সেই নিয়ম হল, প্রত্যেকে তার ইবরানী গোলাম ও বাঁদীকে মুক্ত করে দেবে; কোন ইহুদী ভাইকে কেউ গোলাম করে রাখতে পারবে না।
10. কাজেই সব রাজকর্মচারী ও লোকেরা এই নিয়ম মেনে তাদের গোলাম ও বাঁদীদের মুক্ত করে দিতে রাজী হল এবং তাদের আর গোলাম করে রাখবে না বলে ঠিক করল। তখন তারা তাদের গোলামদের মুক্ত করে দিল।
11. কিন্তু পরে তারা মন বদলে ফেলল এবং যে সব গোলাম ও বাঁদীদের তারা মুক্ত করেছিল তাদের ফিরিয়ে এনে আবার গোলাম বানাল।
12. এইজন্য মাবুদ ইয়ারমিয়াকে বলেছিলেন,