6. “তবুও আমি এতে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা আনব; আমার বান্দাদের আমি সুস্থ করব এবং সত্যিকারের শান্তি প্রচুর পরিমাণে ভোগ করতে দেব।
7. আমি এহুদা ও ইসরাইলের লোকদের বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে আনব এবং তাদের দেশটা আবার আগের মতই গড়ে তুলব।
8. আমার বিরুদ্ধে তারা যে সব গুনাহ্ করেছে তা থেকে আমি তাদের পাক-সাফ করব এবং আমার বিরুদ্ধে করা তাদের সব অন্যায় ও বিদ্রোহ মাফ করব।
9. তখন এই শহর দুনিয়ার সমস্ত জাতির সামনে আমাকে আনন্দিত ও সম্মানিত করবে এবং গৌরব দান করবে। আমি তার যে সব উপকার করব সেই জাতিরা তা শুনতে পাবে, আর তাকে দেওয়া প্রচুর উন্নতি ও শান্তি দেখে ভয়ে কাঁপতে থাকবে।
10-11. “তোমরা এই জায়গা সম্বন্ধে বলে থাক, ‘এটা একটা পতিত জমি; এখানে মানুষ বা পশু কিছুই নেই।’ কিন্তু এহুদার যে শহরগুলো ও জেরুজালেমের যে রাস্তাগুলো খালি পড়ে আছে, যেখানে মানুষ বা পশু বাস করে না সেখানে আবার আমোদ ও আনন্দের শব্দ এবং বর ও কনের গলার আওয়াজ শোনা যাবে; যারা মাবুদের ঘরে শুকরিয়া কোরবানীর জন্য জিনিস আনবে তাদেরও গলার আওয়াজ শোনা যাবে। তারা বলবে, ‘আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনকে শুকরিয়া জানাও, কারণ মাবুদ মেহেরবান, তাঁর অটল মহব্বত চিরকাল স্থায়ী।’ আগেকার মতই আমি এই দেশের অবস্থা ফিরাব।
12. এই পতিত জমি, যেখানে মানুষ ও পশু কিছুই নেই, সেখানে এবং সেখানকার সমস্ত শহর ও গ্রামে আবার রাখালদের ভেড়াগুলোর জন্য চারণ ভূমি হবে।
13. উঁচু ও নীচু পাহাড়ী এলাকার সব গ্রাম ও শহরে, বিন্ইয়ামীন এলাকায়, জেরুজালেমের চারপাশের এলাকায় এবং এহুদার ও নেগেভের সব গ্রাম ও শহরে যারা ভেড়ার সংখ্যা গোণে তাদের হাতের নীচ দিয়ে আবার ভেড়ার পাল যাওয়া-আসা করবে। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।”
14. মাবুদ বলছেন, “ইসরাইল ও এহুদার লোকদের কাছে আমি যে উন্নতির ওয়াদা করেছিলাম সময় আসছে যখন আমি তা পূর্ণ করব।
15. সেই দিনগুলোতে ও সেই সময়ে আমি দাউদের বংশ থেকে একটা সততার চারা গজাতে দেব; যা ন্যায় ও সৎ তিনি দেশের মধ্যে তা-ই করবেন।
16. সেই সময়ে এহুদার লোকেরা উদ্ধার পাবে আর জেরুজালেমের লোকেরা নিরাপদে বাস করবে। তাঁকে এই নামে ডাকা হবে-‘মাবুদ আমাদের ধার্মিকতা।’
17. ইসরাইলের সিংহাসনে বসবার জন্য দাউদের বংশে কোন লোকের অভাব হবে না।
18. আমার সামনে দাঁড়িয়ে সব সময় পোড়ানো-কোরবানীর, শস্য-কোরবানীর ও পশু-কোরবানী দিতে লেবীয় ইমামদের মধ্যেও লোকের অভাব হবে না।”