13. যুবতী মেয়েরা নাচবে ও আনন্দ করবে, যুবক এবং বুড়ো লোকেরাও বাদ যাবে না। আমি তাদের শোক খুশীতে বদলে দেব; দুঃখের বদলে আমি তাদের দেব সান্ত্বনা ও আনন্দ।
14. সব কিছু প্রচুর পরিমাণে দিয়ে আমি ইমামদের পূর্ণ করব, আর আমার বান্দারা আমার দোয়ায় তৃপ্ত হবে। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।”
15. মাবুদ বলছেন, “রামায় বিলাপ ও ভীষণ কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে; রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে, কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না, কারণ তারা আর নেই।
16. তোমার কান্নাকাটি থামাও ও চোখের পানি মুছ, কারণ তোমার কাজের পুরস্কার তুমি পাবে। তারা শত্রুদের দেশ থেকে ফিরে আসবে।
17. কাজেই তোমার ভবিষ্যতের জন্য আশা আছে। তোমার ছেলেমেয়েরা নিজেদের দেশে ফিরে আসবে। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।
18. “আমি অবশ্যই আফরাহীমের এই কাতর স্বর শুনেছি, ‘তুমি আমাকে অবাধ্য বাছুরের মত করে শাসন করেছ, আর তার ফলে আমি শাস্তি পেয়েছি। আমাকে ফিরাও, তাতে আমি ফিরব, কারণ তুমিই আমার মাবুদ আল্লাহ্।
19. আমি বিপথে যাওয়ার পর দুঃখিত হয়ে ফিরলাম, বুঝতে পেরে বুক চাপড়ালাম। আমি লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করলাম, কারণ আমার যুবা বয়সের গুনাহের জন্য আমাকে অসম্মানিত হতে হয়েছে।’
20. আফরাহীম কি আমার প্রিয় পুত্র নয়? সে কি সেই সন্তান নয় যাকে দেখে আমি খুশী হই? যদিও আমি প্রায়ই তার বিরুদ্ধে কথা বলেছি কিন্তু তবুও আমি তাকে সব সময় মনে রাখি। সেইজন্যই আমার প্রাণ তার জন্য কাঁদে; তার জন্য আমার খুব মমতা আছে।
21. “তোমরা রাস্তায় রাস্তায় পথ নির্দেশ-করা চিহ্ন দাও ও খুঁটি স্থাপন কর। যে পথে তুমি গিয়েছিলে সেই রাজপথের কথা মনে রাখ। হে ইসরাইল, ফিরে এস, তোমার সব শহরে তুমি ফিরে এস।
22. হে বিপথে যাওয়া কন্যা, আর কতকাল তুমি ঘুরে বেড়াবে? আমি মাবুদ দুনিয়াতে একটা নতুন ব্যাপার ঘটিয়েছি, তা হল, স্ত্রীলোক পুরুষকে ঘেরাও করবে।”
23. ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, “আমি যখন বন্দীদশা থেকে লোকদের ফিরিয়ে আনব তখন এহুদা দেশ ও তার শহরগুলোর লোকেরা আবার বলবে, ‘হে সততাপূর্ণ বাসস্থান, হে পবিত্র পাহাড়, মাবুদ তোমাকে দোয়া করুন।’
24. সেই লোকেরা এহুদা ও তার সব শহরগুলোতে বাস করবে এবং চাষীরা ও যারা তাদের পশুপাল নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারাও সেখানে থাকবে।
25. আমি ক্লান্তদের সতেজ করে তুলব এবং দুর্বলদের দিল শক্তিশালী করব।”
26. তখন আমি জেগে উঠে চারপাশে তাকালাম। আমার ঘুম আমার কাছে আরামের ছিল।
27. মাবুদ বলছেন, “সময় আসছে যখন আমি ইসরাইল ও এহুদা দেশে লোকদের ও পশুদের চারার মত লাগিয়ে দেব।
28. আমি যেমন করে তাদের উপ্ড়ে, ভেংগে ও ছুঁড়ে ফেলবার দিকে এবং তাদের উপর ধ্বংস ও বিপদ আনবার দিকে খেয়াল রেখেছিলাম তেমনি করে তাদের গড়ে তুলবার ও চারার মত লাগিয়ে দেবার দিকেও খেয়াল রাখব।
29. সেই সময় লোকেরা আর বলবে না, ‘বাবারা টক আংগুর খেয়েছে, কিন্তু সন্তানদের দাঁত টকে গেছে।’