29. মাবুদ বলছেন, “কেন তোমরা আমাকে দোষ দিচ্ছ? তোমরা তো সবাই আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছ।
30. আমি তোমাদের বৃথাই শাস্তি দিয়েছি; তোমরা শাসন অগ্রাহ্য করেছ। খিদে-পাওয়া সিংহের মত তোমাদের তলোয়ার তোমাদের নবীদের গ্রাস করেছে।
31. “এই কালের লোকেরা, তোমরা আমার কালাম শোন। ইসরাইলের কাছে কি আমি মরুভূমি হয়েছি? আমি কি ভীষণ অন্ধকারের দেশ হয়েছি? আমার বান্দারা কেন বলে, ‘আমরা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারি; আমরা তোমার কাছে আর আসব না’?
32. কোন মেয়ে কি তার অলংকার সম্বন্ধে ভুলে যেতে পারে? কোন বিয়ের কনে কি তার বিয়ের গহনা-গাঁটি সম্বন্ধে ভুলে যেতে পারে? কিন্তু আমার বান্দারা অনেক অনেক দিন ধরে আমাকে ভুলে রয়েছে।
33. “হে এহুদা, তুমি প্রেমের পিছনে ধাওয়া করতে কেমন পাকা! সবচেয়ে খারাপ স্ত্রীলোকও তোমার পথ দেখে শিখতে পারে।
34-35. তোমার কাপড়-চোপড়ে নির্দোষ গরীবের রক্ত দেখা যায়, যদিও তারা তোমার ঘর ভেংগে ঢোকে নি। এই সব হলেও তুমি বলেছ, ‘আমি নির্দোষ; আমার উপর মাবুদের আর রাগ নেই।’ কিন্তু আমি তোমার বিচার করে তোমাকে শাস্তি দেব, কারণ তুমি বলেছ, ‘আমি গুনাহ্ করি নি।’
36. বারবার পথ বদলে কেন তুমি এত ঘুরে বেড়াও? আশেরিয়ার বিষয় তুমি যেমন লজ্জিত হয়েছিলে তেমনি মিসরের বিষয়েও লজ্জিত হবে।
37. তোমার হাত মাথার উপর দিয়ে তুমি সেই জায়গাও ছেড়ে আসবে, কারণ যাদের উপর তুমি ভরসা কর আমি মাবুদ তাদের অগ্রাহ্য করেছি; তাদের সাহায্যে তুমি সফলতা লাভ করতে পারবে না।”