10. হায়! হায়! মা আমার, তুমি কেন আমাকে জন্ম দিয়েছ, যার সংগে গোটা দেশটা ঝগড়া ও লড়াই করে? আমি ধার দিই নি কিংবা কেউ আমাকে ধারও দেয় নি, তবুও প্রত্যেকে আমাকে বদদোয়া দেয়।
11. মাবুদ বললেন, “একটা উপকারের উদ্দেশ্যে আমি নিশ্চয় তোমাকে রেহাই দেব। আমি এমন অবস্থা সৃষ্টি করব যার ফলে বিপদ ও দুর্দশার সময়ে তোমার শত্রুরা অবশ্য তোমার কাছে এসে মিনতি করবে।
12. “কোন লোক কি উত্তর দেশের লোহা বা ব্রোঞ্জ ভেংগে ফেলতে পারে?
13. হে এহুদা, সারা দেশের মধ্যে তোমার সমস্ত গুনাহের দরুন আমি তোমার ধন ও ধনভাণ্ডারের জিনিসপত্র বিনামূল্যে লুটের মাল হিসাবে দেব।
14. যে দেশের কথা তুমি জান না সেই দেশে আমি তোমাকে তোমার শত্রুদের গোলাম করব, কারণ আমার গজবের আগুন জ্বলে উঠে তোমার উপর জ্বলতে থাকবে।”
15. হে মাবুদ, তুমি তো সবই বুঝতে পার; কাজেই আমার কথা স্মরণ কর ও আমার প্রতি মনোযোগ দাও। আমার জুলুমবাজদের উপর তুমিই প্রতিশোধ নাও। তুমি তো তাদের উপর অনেক ধৈর্য ধরে থাক, কিন্তু তাই বলে তাদের হাতে তুমি আমাকে ধ্বংস হতে দিয়ো না; মনে করে দেখ, আমি তোমার জন্য কেমন টিট্কারি সহ্য করছি।
16. তোমার কালাম প্রকাশিত হলে পর আমি তা অন্তরে গ্রহণ করলাম; সেই কালাম ছিল আমার আনন্দ ও আমার দিলের সুখ, কারণ হে মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, আমি তো তোমারই।
17. যারা হৈ হুল্লোড় করে মদ খায় আমি কখনও তাদের দলে বসি নি, তাদের সংগে কখনও আনন্দ করি নি; তোমার হাত আমার উপরে ছিল বলে আমি একাই বসে থাকতাম আর তুমি আমাকে রাগে পরিপূর্ণ করেছ।
18. কেন আমার ব্যথার শেষ নেই, কেন আমার ঘা ভাল হয় না, কেন তা সারানো যায় না? তুমি কি আমার কাছে মিথ্যা স্রোত ও অস্থায়ী ঝর্ণার পানির মত হবে?
19. তখন মাবুদ বললেন, “তুমি যদি মন ফিরাও তবে আমি তোমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনব যাতে তুমি আমার এবাদত করতে পার; যদি তুমি বাজে কথা না বলে মূল্যবান কথা বল তবে তুমি আমার মুখ হয়ে কথা বলবে। এই লোকেরা তোমার দিকে ফিরুক, কিন্তু তুমি তাদের দিকে ফিরবে না।