16. এইভাবে তারা দেশটা পাক-সাফ করবে। সেই উপত্যকায় একটা শহরের নাম হবে হামোনা (যার মানে দলবল)।’
17. “হে মানুষের সন্তান, আমি আল্লাহ্ মালিক বলছি, তুমি সব রকম পাখী ও সব বুনো পশুদের ডাক দিয়ে বল, ‘তোমরা জড়ো হও এবং আমি তোমাদের জন্য ইসরাইলের পাহাড়-পর্বতের উপরে যে বিরাট কোরবানীর ব্যবস্থা করছি তার জন্য চারদিক থেকে একত্র হও। সেখানে তোমরা গোশ্ত ও রক্ত খাবে।
18. তোমরা শক্তিশালী লোকদের গোশ্ত খাবে এবং দুনিয়ার শাসনকর্তাদের রক্ত খাবে; এই লোকেরা যেন বাশন দেশের মোটাসোটা পুরুষ ভেড়া, বাচ্চা-ভেড়া, ছাগল ও ষাঁড়।
19. যে কোরবানীর ব্যবস্থা আমি তোমাদের জন্য করব তাতে তোমরা পেট না ভরা পর্যন্ত চর্বি খাবে এবং মাতাল না হওয়া পর্যন্ত রক্ত খাবে।
20. আমার টেবিলে তোমরা পেট ভরে ঘোড়া, রথচালক, শক্তিশালী লোক ও সব রকমের সৈন্যদের গোশ্ত খাবে।’
21. “আমি জাতিদের মধ্যে আমার মহিমা প্রকাশ করব এবং আমার শক্তিশালী হাত দিয়ে তাদের যে শাস্তি দেব তা সমস্ত জাতিই দেখবে।
22. সেই দিন থেকে বনি-ইসরাইলরা জানবে যে, আমিই তাদের মাবুদ আল্লাহ্।
23. আর জাতিরা জানবে যে, বনি-ইসরাইলরা তাদের গুনাহের জন্য বন্দীদশায় গিয়েছিল, কারণ তারা আমার প্র্রতি বেঈমানী করেছিল। সেইজন্য আমার মুখ আমি তাদের কাছ থেকে ফিরিয়ে রেখেছিলাম এবং শত্রুদের হাতে তাদের তুলে দিয়েছিলাম; তারা সবাই যুদ্ধে মারা পড়েছিল।
24. তাদের নাপাকী ও গুনাহ্ অনুসারে আমি তাদের সংগে ব্যবহার করেছিলাম এবং তাদের কাছ থেকে আমার মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলাম।”
25. আল্লাহ্ মালিক আরও বললেন, “আমি এখন ইয়াকুবকে বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে আনব ও ইসরাইলের সব লোকদের মমতা করব এবং আমার নামের পবিত্রতার জন্য আগ্রহী হব।
26. যখন তারা তাদের দেশে নিরাপদে বাস করবে এবং কেউ তাদের ভয় দেখাবে না তখন আমার প্রতি বেঈমানীর দরুন তাদের লজ্জার কথা তারা ভুলে যাবে।
27. জাতিদের মধ্য থেকে আমি যখন তাদের ফিরিয়ে আনব এবং শত্রুদের দেশ থেকে তাদের জড়ো করব তখন অনেক জাতির চোখের সামনে আমি তাদের মধ্য দিয়ে আমার পবিত্রতা প্রকাশ করব।
28. তখন তারা জানবে যে, আমিই তাদের মাবুদ আল্লাহ্, কারণ নানা জাতির মধ্যে তাদের বন্দীদশায় পাঠালেও আমি তাদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে আনব, কাউকে ফেলে রাখব না।
29. তাদের কাছ থেকে আমি আমার মুখ আর ফিরিয়ে রাখব না, কারণ বনি-ইসরাইলদের উপরে আমি আমার রূহ্ ঢেলে দেব। আমি আল্লাহ্ মালিক এই কথা বলছি।”