ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইষ্টের 2:9-23 Kitabul Mukkadas (MBCL)

9. মেয়েটিকে হেগয়ের খুব ভাল লাগল এবং হেগয়ের কাছ থেকে মেয়েটি ভাল ব্যবহার পেলেন। হেগয় প্রথম থেকেই তাঁকে সৌন্দর্য বাড়াবার জিনিসপত্র দিল এবং বিশেষ খাবার দিল। সে রাজবাড়ী থেকে বেছে সাতজন বাঁদী তাঁর জন্য নিযুক্ত করল এবং হারেমের সবচেয়ে ভাল জায়গায় তাঁকে ও তাঁর বাঁদীদের রাখল।

10. ইষ্টের তাঁর জাতি ও বংশের পরিচয় দিলেন না, কারণ মর্দখয় তাঁকে নিষেধ করেছিলেন।

11. ইষ্টের কেমন আছেন ও তাঁর কি হচ্ছে না হচ্ছে তা জানবার জন্য মর্দখয় প্রতিদিন হারেমের উঠানের সামনে ঘোরাফেরা করতেন।

12. বাদশাহ্‌ জারেক্সেসের কাছে কোন মেয়ের যাবার পালা আসবার আগে এক বছর ধরে তাকে মেয়েদের জন্য সৌন্দর্য বাড়াবার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হত। তাকে ছয় মাস গন্ধরসের তেল ও ছয় মাস খোশবু ও সাজবার জিনিস ব্যবহার করতে হত।

13. কোন মেয়ের বাদশাহ্‌র কাছে যাবার সময় হলে হারেম থেকে বাদশাহ্‌র সামনে নিয়ে যাবার জন্য সে যা চাইত তাকে তা-ই দেওয়া হত।

14. সন্ধ্যাবেলায় সে সেখানে যেত এবং সকালবেলায় উপস্ত্রীদের ভার-পাওয়া বাদশাহ্‌র নিযুক্ত খোজা শাশ্‌গসের তদারকির অধীনে হারেমের অন্য অংশে ফিরে আসত। বাদশাহ্‌ তার উপর খুশী হয়ে নাম ধরে ডেকে না পাঠালে সে আর বাদশাহ্‌র কাছে যেতে পারত না।

15. মর্দখয় তাঁর চাচা অবীহয়িলের যে মেয়েটিকে নিজের মেয়ে হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন সেই মেয়েটির, অর্থাৎ ইষ্টেরের যখন বাদশাহ্‌র কাছে যাবার পালা আসল তখন হারেমের তদারককারী বাদশাহ্‌র নিযুক্ত খোজা হেগয় তাঁকে যা নিতে বলল তা ছাড়া তিনি আর কিছুই চাইলেন না। যে কেউ ইষ্টেরকে দেখত তার চোখে তাঁকে ভাল লাগত।

16. বাদশাহ্‌ জারেক্সেসের রাজত্বের সাত বছরের দশম মাসে, অর্থাৎ টেবেৎ মাসে ইষ্টেরকে রাজবাড়ীতে বাদশাহ্‌র কাছে নিয়ে যাওয়া হল।

17. অন্যান্য স্ত্রীলোকদের চেয়ে ইষ্টেরকে বাদশাহ্‌ বেশী ভালবাসলেন এবং তিনি অন্যান্য অবিবাহিতা মেয়েদের চেয়ে বাদশাহ্‌র কাছে বেশী দয়া ও ভালবাসা পেলেন। কাজেই বাদশাহ্‌ তাঁর মাথায় তাজ পরিয়ে দিলেন এবং বষ্টীর জায়গায় ইষ্টেরকে রাণী করলেন।

18. তারপর বাদশাহ্‌ তাঁর উঁচু পদের লোকদের ও তাঁর কর্মকর্তাদের জন্য ইষ্টেরের মেজবানী নামে একটা বড় মেজবানী দিলেন। তিনি সব বিভাগের জন্য ছুটি ঘোষণা করে দিলেন এবং খোলা হাতে অনেক দান করলেন।

19. দ্বিতীয়বার অবিবাহিতা মেয়েদের যোগাড় করবার সময় মর্দখয় রাজবাড়ীর দরজায় বসবার জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন।

20. ইষ্টের মর্দখয়ের কথামত তাঁর বংশের পরিচয় এবং জাতির কথা গোপন রেখেছিলেন। ইষ্টের মর্দখয়ের কাছে লালিত-পালিত হবার সময় যেমন মর্দখয়ের কথামত চলতেন তখনও তিনি তেমনই চলছিলেন।

21. মর্দখয় রাজবাড়ীর দরজায় নিযুক্ত থাকবার সময় একদিন রাজবাড়ীর দারোয়ানদের মধ্যে বিগ্‌থন ও তেরশ নামে বাদশাহ্‌র দু’জন কর্মচারী রাগ করে বাদশাহ্‌ জারেক্সেসকে হত্যা করবার ষড়যন্ত্র করল।

22. মর্দখয় ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে রাণী ইষ্টেরকে সেই কথা জানালেন। রাণী মর্দখয়ের নাম করে তা বাদশাহ্‌কে জানালেন।

23. সেই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে যখন জানা গেল কথাটা সত্যি তখন সেই দু’জন কর্মচারীকে ফাঁসি দেওয়া হল। এই সব কথা বাদশাহ্‌র সামনেই ইতিহাস বইতে লেখা হল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ইষ্টের 2